"সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর যত্ন" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ২০১৫ সালের বই মেলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক সবচেয়ে বেশি বিক্রিত গ্রন্থটি ছিল ডা. আবু সাঈদ শিমুলের । অনলাইনে বই বিক্রির ওয়েবসাইট রকমারি.কম যে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকা করেছে তাতে গল্প, উপন্যাস আর রাজনৈতিক বইয়ের ভিড়ে ডা. সাঈদের গ্রন্থটিই কেবল স্বাস্থ্য বিষয়ক একমাত্র গ্রন্থ হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল। এটি লেখকের ষষ্ঠ বই। এতে নবজাতকের যত্ন নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। একটি শিশু জন্ম নেয়ার সাথে সাথে সবার মধ্যেই আনন্দের ঢেউ খেলে যায়। কিন্তু পরম আদরের এই সন্তানেরা যখন অসুস্থ হয়, তখন বেদনায় নীল হয়ে যাই আমরা। তখন দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। নতুন মা-বাবাদের সেই দুশ্চিন্তা লাঘবে এই বইটি যথেষ্ট সাহায্য করবে। চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে কীভাবে ঘরে বসেই শিশুর চিকিৎসা করা যায় তা জানা যাবে এই বই থেকে। এতে করে নিজের উপকার তাে হবেই, আশপাশের মানুষগুলােকেও প্রয়ােজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন। একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে তার যত্ন ও লালন পালনের বিস্তারিত তথ্য আছে বইটিতে। জন্মের পর কখন গােসল করাবেন, চুল কাটাবেন, বুকের দুধ কমে গেলে কী করবেন, সিজারিয়ান অপারেশনে কী করবেন, কীভাবে নাভির যত্ন নিবেন-ইত্যাদি বহুল আলােচিত প্রশ্নগুলাের উত্তর পাওয়া যাবে বইটিতে। বইটি নবজাতকের যত্ন ও রােগ নিয়ে আমাদের প্রচলিত অনেক ধারণা বা বিশ্বাসকে পালটে দিবে। সহজ-সরল ভাষায় লেখা বইটি সবার জন্য হৃদয়গ্রাহী হবে নিঃসন্দেহে।
ডা. আবু সাঈদ শিমুল, জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার লড়িহরা গ্রামে। মা-রোকেয়া বেগম, বাবাআবুল কাশেম চৌধুরী। এমবিবিএস পাশ করেছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে । বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। ডা. আবু সাঈদ শিমুলের শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখির শুরু ছাত্র অবস্থা থেকেই। তা আরও বেগবান হয় একটি জাতীয় দৈনিকের স্বাস্থ্য পাতার বিভাগীয় সম্পাদক হওয়ার পর থেকে । সময়ের সাথে সাথে লিখতে থাকেন। দৈনিক প্রথম আলো, সমকাল, সকালের খবর, আমার দেশ, ডেইলি স্টার সহ অসংখ্য পত্রিকায় । লিটেল ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও সাংবাদিকতা করেছেন ছাত্র অবস্থায়। লেখালেখি ছাড়াও বিতর্ক ও আবৃত্তিতে লেখক সমান পারদর্শী । ২০০০ সালে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সব মেডিকেল কলেজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বক্তা হন। প্রতিষ্ঠা করেন সিলেট মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং ক্লাব। সিলেট জেলা ডিবেটিং সোসাইটিরও সভাপতি ছিলেন তিনি। আবৃত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। এ পর্যন্ত লেখকের স্বাস্থ্যু বিষয়ক তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং সবগুলোই পাঠকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে ডা. আবু সাঈদ শিমুল এক সন্তানের জনক (ইয়াদ বিন সাঈদ)। তার সহধমীনী ডা. ফারহানা হােসেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং একটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক।