"রোবেকুবের তড়িৎ তান্ডব" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: ওর নাম অরণী। অন্যরকম প্রিপারেটরি স্কুলে ক্লাস এইটে পড়ে। ভীষণ কৌতুহলী মেয়ে ও। প্রায় ত্রিভুজের মত চেহারায় চশমার আড়ালে অস্বাভাবিক উজ্জ্বল দুটি চোখে বুদ্ধির ঝিলিক। বাবা-মায়ের সাথে বাংলাদেশের ছােট্ট একটা শহরে ওদের বসবাস। ক'দিন আগে একটা মজার অবাক করা ঘটনা ঘটে গেছে। সন্ধ্যেবেলা অরণী বারান্দায় বসে চা খাচ্ছিল। হঠাৎ বেশ ভারী একটা শব্দ কানে এল ওর, সম্ভবত বাড়ীর পেছন থেকে। ওখানে বেশ খানিকটা জায়গা একটু ঝােপঝাড়ের মত, তারপরই মৌন নদী। কৌতুহলের বশে অরণী একটা টর্চ হাতে শব্দের উৎস খুঁজতে গেল সেই মৌন নদীর পাড়ে। বাড়ীর পেছনে গিয়ে ওর কানে খুব অদ্ভুত শব্দ এল, মনে হয় একটা ধাতব পাতে ঘষে ঘষে কেউ কান্নার আওয়াজ তােলার চেষ্টা করছে। একটু ভয় ভয় লাগলেও কৌতূহলী অরণী ভালােভাবে খুঁজতে শুরু করল। একটু পর সে আবিষ্কার করল, ঝােপের আড়ালে একটা ছােট্ট রােবট গুটিসুটি মেরে বসে আছে! তিন ফুটের মত লম্বা, চেহারাটা নিও পলিমারের তৈরি, বাকী শরীর ধাতব । ওর চেহারায় কান্নার ভাব। অদ্ভুত শব্দটার উৎস রােবটটাই। অরণী রােবটটাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। জানতে পারল, সুদূর আলফা-২৯ গ্রহ থেকে আসা একটা মহাকাশযান ওকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেছে এখানে। কারণটা একটু অদ্ভুত, এই রােবটটার প্রােগ্রামিং এ একটু গােলমাল হয়ে যাওয়ায় ওর বুদ্ধি সুদ্ধি একটু কম-মেমরিটাও দুর্বল। তবে এগুলাের চেয়েও বড় সমস্যা হল ওর মধ্যে কিছু মানবীয় গুণাবলী আছে। আর রােবট সমাজে নাকি এর চাইতে বড় কলঙ্ক আর হয় না! রােবটের অদ্ভুত কান্নার শব্দে অরণীর খুব অস্বস্তি হয়। অরণী এই রােবটটাকে সাহায্য করতে চায়। কী করবে অরণী এই ছােট্ট রােবটটাকে নিয়ে?