মৌয়ের বিয়েটা বুঝি এবারও ভেঙে গেল। কত স্বপ্ন, কতো ভালোবাসা, কতো অনুরাগ আর কতো যে কল্পনার আঁকিঝুঁকি মনের মধ্যে ঢেউ খেলছে তার শেষ নেই। মৌ ঢাকায় একটি নামিদামি কিন্ডারগার্টেনে চাকরি করে। বাবা বড়ো ব্যবসায়ী, ভাই ডাক্তার। তাদের সংসারে কোনও অভাব নেই। নেই কোনও অনটন। সুখ আর শান্তিতে ভরা পুরো পরিবার । কোনও কষ্ট মৌকে এখনও স্পর্শ নিয়ে করতে পারেনি। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম না-নিলেও দুঃখ ও ক্লেশ তাকে ছুঁতে পারেনি কখনও। এতো শান শওকতের মধ্যে বড়ো হলেও অহংকারবোধ তার মনে কখনও কাজ করেনি। তবে সত্য ও ন্যায় কথা বলতে কখনও মাথা নত হয় না। সব সময়ই সৌন্দর্যতা বজায় রেখে নিজেকে সামলিয়ে চলার চেষ্টা করতে ভুল করেনি। মৌ একেবারে আহামরি সুন্দরী না-হলেও তাকে দেখে কেউ অপছন্দ করতে পারবে বলে আমার বোধগম্য নয়। সে বেশ সুন্দরী। নাদুসনুদুস সন্তুল স্বাস্থ্যের অধিকারী। চোখ যোগল টানা টানা। হরিণীর অপূর্ব আবেদনময়ী চোখকেও হার মানে। না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। আসলেই হৃদয় খুন করা তার চাহনি কতোটা তীব্র। সত্যিকারের প্রেমিক চোখ ফেরাতেই পারবে না তার অপরূপ গোলাপ রাঙা চেহারা থেকে। অনেক ভালো ঘর থেকে সম্বন্ধ আসে।