উন্নয়ন আলাপ অর্থনীতি, পরিবেশর উন্নয়ন বিতর্ক ড. আতিউর রহমান উন্নয়ন প্রসঙ্গটিকে নানা কোণ থেকে দেখেছেন। এ বিষয়ে তঁর সাহসী উচ্চারণ সর্বজনবিদিত। শুধু তত্ত্ব কথা নয় তিনি বাস্তবের উন্নয়ন ভাবনাকে প্রয়োগ করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ উন্নয়নের দৌড়ে ভালো করেছে। যদির দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ এখনর দরিদ্র, দুর্নীতি র দুঃশাসনের চাপে তাদের প্রাণ রষ্ঠাগত তা সত্ত্বের এই দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচক উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বেড়েছে মানুষের সাক্ষরতা, জীবনের আয়ু। কমেছে জনসংখ্যার হার। বেড়েছে পরিবেশ সচেতনতা, নারীর ক্ষমতায়নের সূচক। তবুর বাংলাদেশের সামনে রয়েছে টেকসই উন্নয়নের শক্ত চ্যালেঞ্জ। ঝুঁকির মুখে পড়েছে তার ভাবমূর্তি। আবার তার সম্ভাবনার হাতছানির লক্ষ করার মতো। ভালো মন্দের এই বাংলাদেশকে ড. আতিউর রহমান নানাভাবে উপস্থাপন করেছেন সাংবাদিকদের কাছে। তাদের সঙ্গে তাঁর সেই আলাপই এই বইতে মলাটবন্দী করা হয়েছে। খুব সম্ভবত বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের মধ্যে তিনিই প্রথম এমন ব্যতিক্রমী বই পাঠকদের উপহার দিলেন।
লেখক: আতিউর রহমান ড. আতিউর রহমান (জন্ম ১৯৫১) বাংলাদেশের খ্যতিমান অর্থনীতিবিদ। গবেষক: প্রচলিত উন্নয়ন ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে দেখে চলেছেন দেশের অর্থনীতি, সমজনীতির রাজনীতিকে। হালে পরিবেশ বিষয়টির যুক্ত হয়েছে তাঁর পর্যবেক্ষণ তালিকায়। বাংলা ভাষায় অর্থনীতি চর্চার ক্ষেত্রে তিনি একজন পথিকৃত। ১৯৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি প্রাপ্ত ড. আতিউর রহমান স্বদেশেকে বেছে নেন কর্মক্ষেত্র হিসাবে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. রহমান এর উলে?খযোগ্য বই-ভাষা-আন্দোলন: আর্থসামাজিক পটভূমি (ইউপিএল, ২০০০); মুক্তিযুদ্ধের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন (সাহিত্য প্রকাশ, ১৯৯৭); রবীন্দ্র-অমর্ত্য ভাবনা (ইউপিএল, ২০০০); কৃষি প্রশ্ন (ইউপিএল, ১৯৮৯); জনগণের বাজেট (পাঠক সমাবেশ, ২০০০); আগামী দিনের বাংলাদেশ (পাঠক সমাবেশ, ২০০১); আরেক বাংলাদেশ (প্রাচ্য বিদ্যা, ১৯৯৮); সুশাসনের সন্ধানে (অন্যপ্রকাশ, ২০০৩) আলো আঁধারের বাংলাদেশ (মারলা ব্রাদার্স, ২০০৩) মুক্তিযুদ্ধ জনযুদ্ধ (সাহিত্য প্রকাশ, ২০০৩) এবং Peasants and Classess (ZED Books, London, 1986, Education for Development (iCES, Singapore, 2002).
Atiur Rahman- রহমান বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। প্রচলিত ধারার বাইরের এক উন্নয়ন গবেষক। কর্মজীবীর। স্বাপ্নিক এই পরিশ্রমী লেখক যা বিশ্বাস করেন তাই অপকটে প্রকাশও করেন। সর্বক্ষণ সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে দেখবার চেষ্টা করেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রাকে। প্রচলিত উন্নয়ন ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে দেখে চলেছেন দেশের অর্থনীতি, সমাজনীতি ও রাজনীতিকে। বহুমাত্রিক বিষয় হিসেবে উন্নয়নকে বাংলা ভাষায় সহজ করে উপস্থাপনের কৃতিত্ব তাঁকে দিতেই হবে। গরিবের প্রতি তাঁর পক্ষপাতিত্বের কথা সকলেরই জানা। সব লেখাতেই তিনি তা তুলে ধরেন তাঁর হৃদয় দিয়ে। ১৯৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি প্রাপ্ত ড. আতিউর রহমান স্বদেশেই রয়ে গেছেন। সর্বক্ষণ ব্যস্ত রয়েছেন ব্যতিক্রমী গবেষণায়, গণমাধ্যমে, জনবিতর্কে, সাধারণের ভাষায় লেখালেখিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি সিডিএফ-এর সভাপতি, মোনাজাতউদ্দীন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এবং বিশ্বসাহিত্য-কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি। জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের তিনি সাবেক চেয়ারম্যান। বিআইডিএস-এর একজন সাবেক উর্ধ্বতন গবেষক ড. রহমানের অসংখ্য বই প্রকাশিত হয়েছে দেশের ও বিদেশের নামকরা প্রকাশনা সংস্থা থেকে। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘ভাষা আন্দোলন : আর্থ-সামাজিক পটভূমি’; মুক্তিযুদ্ধের তিনটি বই :‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের মানুষ’; ‘অসহযোগের দিনগুলি’,রবীন্দ্র-অমর্ত্য ভাবনা;’ ‘উন্নয়ন আলাপ;’ ‘জনগণের বাজেট;’ ‘আলো আঁধারের বাংলাদেশ;’ ‘সুশাসনের সন্ধানে;’ ‘ অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন;’ ‘উন্নয়ন কার জন্য;’ ‘অপউন্নয়ন;’ ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ খুঁজে ফেরা;’ `Peasants and classes;’ `Education for Development’ ইত্যাদি। দেশি ও বিদেশি প্রফেশনাল জার্নালে তাঁর বিপুল সংখ্যক গবেষণা-প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। সব মিলে তিরিশটিরও বেশি বইয়ের লেখক ড. রহমান।