"শিলাপটে অন্য ছায়া" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: কি বলছিস তুই এসব কনি? বিস্ময়ের শেষ সীমায় পৌছে প্রায় প্রশ্নটা করল সােহরাব। আমি যা বলছি তা ঠিকই বলছি। এবং এসব কথার নড়চড় হবেনা এতটুকুও জানিস। নির্বিকার ঠান্ডা গলায় উত্তর দিল কনক। তাই যদি সত্য বলে মনে করতে হয় তাহলে কি প্রয়ােজন ছিল “বিয়ের আসর থেকে করবী হরনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কার্যটি সাধিত করবার? রাগে গুমরানাে কণ্ঠে কনককে কথাগুলাে বলল সােহরাব । সেইটাই ছিল আমার জীবনের চরম ভুল। একতরফাভাবে জোর করে কিছু হয়না বন্ধু। তুই বলেছিলি আমি ওকে ঠিকই একসময় জয় করে নিতে পারব। কিন্ত তা আর হলনা সােহরাব। বাজীতে নিষ্ঠুর ভাবে হেরে গেলাম আমি। তাই দু’হাতে মুখ ঢেকে সােফার পরে বসে পড়ল কনক । বন্ধুর এই চরম বিপর্যস্ত ভঙ্গীর দিকে তাকিয়ে গনগনে আগুন হয়ে উঠল ভেতরটা সােহরাবের। কঠিন হিসহিসে কণ্ঠে বলল সে, তুই শুধু যদি একটু চোখের ইঙ্গিত দিস, তাহলে, বলেই হাঁটুর প্রায় নিচে ফুলপ্যান্টের চোরা পকেট থেকে বের করে আনলাে সে এক সুতীক্ষ ছুরিকা। আলাে পড়ে ঝিকমিক করে উঠলাে সেই তীক্ষ্ণধার অস্ত্রটি। সুতীক্ষ ছুরিকাটির বাঁটটা ডানহাতে শক্তমুঠিতে বাঁকা করে ধরে একচোখ টিপে বলে সােহরাব, শাহনাজকে সরিয়ে ফেলতে কতক্ষণ? তারপর? নিভে যাক এবার প্রেক্ষাগৃহের সব আলাে । চোখের পর্দায় ভেসে উঠুক পরবর্তী ঘটনার বিচিত্রতর ঘনঘটা।