নয়া শতাব্দী। নয়া সহস্রাব্দ। নয়া অঙ্গীকার। নয়া মানুষ। বিশ্বায়নের প্রশস্ত আঙিনায় তথ্যপ্রযুক্তির বিশাল অবদানের ফলে সম্ভাবনাময় যে নয়া অর্থনীতির আদল গড়ে উঠছে তাতে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? চ্যালেঞ্জগুলোই বা কি? উন্নয়ন ভাবনার নয়া ধারণা নিয়ে সেই চ্যালেঞ্জগুলোকে ভেঙে ভেঙে খুব কাছ থেকে দেখারই এক সাহসী প্রচেষ্টা করা হয়েছে বইতে। উন্নয়নে শিক্ষা, প্রযুক্তি, পরিবেশ র জন অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলোর আলোকিত বিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়ে বইটির মূল লক্ষ্য আশাবাদী এক ভরসার অর্থনীতি খুঁজে পারয়া। মানুষে মানুষে সহমর্মিতা, সহযোগিতা এবং সহবিশ্বাস মিলে যে সামাজিক পুঁজি তাই এ বইয়ের মূল কথা। আগামী দিনের বাংলাদেশের শক্ত পাটাতন নির্মাণের অঙ্গীকারের সন্ধান মেলে এই বইয়ের প্রতিটি শব্দে। আশাবাদী প্রত্যয়ী মানুষ আতিউর রহমান স্বপ্ন দেখতে ভালবাসেন। ভালবাসেন সুস্থ সুন্দর মাথা উঁচু এক বাংলাদেশের ছবি আঁকতে। সমৃদ্ধ সাবলম্বী এক বাংলাদেশ সমুজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠেছে “আগামী দিনের বাংলাদেশ” এর নীল ক্যানভাসে।
লেখক: আতিউর রহমান ড. আতিউর রহমান (জন্ম ১৯৫১) বাংলাদেশের খ্যতিমান অর্থনীতিবিদ। গবেষক: প্রচলিত উন্নয়ন ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে দেখে চলেছেন দেশের অর্থনীতি, সমজনীতির রাজনীতিকে। হালে পরিবেশ বিষয়টির যুক্ত হয়েছে তাঁর পর্যবেক্ষণ তালিকায়। বাংলা ভাষায় অর্থনীতি চর্চার ক্ষেত্রে তিনি একজন পথিকৃত। ১৯৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি প্রাপ্ত ড. আতিউর রহমান স্বদেশেকে বেছে নেন কর্মক্ষেত্র হিসাবে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. রহমান এর উলে?খযোগ্য বই-ভাষা-আন্দোলন: আর্থসামাজিক পটভূমি (ইউপিএল, ২০০০); মুক্তিযুদ্ধের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন (সাহিত্য প্রকাশ, ১৯৯৭); রবীন্দ্র-অমর্ত্য ভাবনা (ইউপিএল, ২০০০); কৃষি প্রশ্ন (ইউপিএল, ১৯৮৯); জনগণের বাজেট (পাঠক সমাবেশ, ২০০০); আগামী দিনের বাংলাদেশ (পাঠক সমাবেশ, ২০০১); আরেক বাংলাদেশ (প্রাচ্য বিদ্যা, ১৯৯৮); সুশাসনের সন্ধানে (অন্যপ্রকাশ, ২০০৩) আলো আঁধারের বাংলাদেশ (মারলা ব্রাদার্স, ২০০৩) মুক্তিযুদ্ধ জনযুদ্ধ (সাহিত্য প্রকাশ, ২০০৩) এবং Peasants and Classess (ZED Books, London, 1986, Education for Development (iCES, Singapore, 2002).
Atiur Rahman- রহমান বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। প্রচলিত ধারার বাইরের এক উন্নয়ন গবেষক। কর্মজীবীর। স্বাপ্নিক এই পরিশ্রমী লেখক যা বিশ্বাস করেন তাই অপকটে প্রকাশও করেন। সর্বক্ষণ সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে দেখবার চেষ্টা করেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রাকে। প্রচলিত উন্নয়ন ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে দেখে চলেছেন দেশের অর্থনীতি, সমাজনীতি ও রাজনীতিকে। বহুমাত্রিক বিষয় হিসেবে উন্নয়নকে বাংলা ভাষায় সহজ করে উপস্থাপনের কৃতিত্ব তাঁকে দিতেই হবে। গরিবের প্রতি তাঁর পক্ষপাতিত্বের কথা সকলেরই জানা। সব লেখাতেই তিনি তা তুলে ধরেন তাঁর হৃদয় দিয়ে। ১৯৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি প্রাপ্ত ড. আতিউর রহমান স্বদেশেই রয়ে গেছেন। সর্বক্ষণ ব্যস্ত রয়েছেন ব্যতিক্রমী গবেষণায়, গণমাধ্যমে, জনবিতর্কে, সাধারণের ভাষায় লেখালেখিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি সিডিএফ-এর সভাপতি, মোনাজাতউদ্দীন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এবং বিশ্বসাহিত্য-কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি। জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের তিনি সাবেক চেয়ারম্যান। বিআইডিএস-এর একজন সাবেক উর্ধ্বতন গবেষক ড. রহমানের অসংখ্য বই প্রকাশিত হয়েছে দেশের ও বিদেশের নামকরা প্রকাশনা সংস্থা থেকে। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘ভাষা আন্দোলন : আর্থ-সামাজিক পটভূমি’; মুক্তিযুদ্ধের তিনটি বই :‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের মানুষ’; ‘অসহযোগের দিনগুলি’,রবীন্দ্র-অমর্ত্য ভাবনা;’ ‘উন্নয়ন আলাপ;’ ‘জনগণের বাজেট;’ ‘আলো আঁধারের বাংলাদেশ;’ ‘সুশাসনের সন্ধানে;’ ‘ অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন;’ ‘উন্নয়ন কার জন্য;’ ‘অপউন্নয়ন;’ ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ খুঁজে ফেরা;’ `Peasants and classes;’ `Education for Development’ ইত্যাদি। দেশি ও বিদেশি প্রফেশনাল জার্নালে তাঁর বিপুল সংখ্যক গবেষণা-প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। সব মিলে তিরিশটিরও বেশি বইয়ের লেখক ড. রহমান।