“ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার" বইটির কিছু তথ্যঃ প্রগতির অনিবার্য বৈশিষ্ট্য হয়ে মানবসভ্যতার ললাটে সত্যবাদিতার যে চন্দ্রমুখীন উজ্জ্বলতা তার মূলগত উপাদান বিজ্ঞানের। সেই একই উপাদানের সারাৎসার মানব প্রাজ্ঞতার জনক-জননী। বিজ্ঞানের এত সব অর্জনের ভারসাম্য-কেন্দ্র হবার স্পর্ধা চিকিৎসা বিজ্ঞানের। আর ওষুধ, সেই ভারসাম্য-কেন্দ্র চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবচেয়ে গ্রাহ্য প্রতিনিধি। মঙ্গল ও অমঙ্গলের দ্বৈত সম্ভাবনার বৈশিষ্ট্যমন্ডিত ওষুধ হয়ে উঠতে পারে বিষ। ওষুধ হবে, নাকি বিষ, এ-নিয়তি উৎপাদক, ব্যবহার-নির্দেশক চিকিৎসক ও ব্যবহারকারী রোগীর সমন্বিত প্রচেষ্টার মধ্যে গ্রথিত। এমন একটা বলয়ে ওষুধের ব্যবহার-নির্দেশক চিকিৎসকের ভূমিকাই বিনিশ্চায়ক। তাঁর দক্ষতা, পেশা, নৈতিকতা ও মানবিকতার পথ ধরেই ওষুধ একটা বৃহৎ ও মহৎ চিকিৎসা বিজ্ঞানের যুক্তিগ্রাহ্য কেন্দ্রীয় অস্তিত্ব হয়ে উঠতে পারে। সে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উদ্ভাসিত হয়ে মানবজাতির প্রজ্ঞা ও ক্ষমতার পরোৎকর্ষ সাধনের পথ। এবং বিজ্ঞানের সাফল্য ভোগের ক্ষেত্রে এ-পথই আমাদের নিয়ে যাবে দেশ-গোত্রহীন চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে। এ এফ এম সাইফুল ইসলাম সূচিপত্র প্রথম অধ্যায় : ওষুধ ব্যবহারের বিবর্তন * প্রাগৈতিহাসিক পর্ব : জ্বরা-ব্যাধির প্রেত তত্ত্ব ও ওষুধ ব্যবহার * ঐতিহাসিক পর্ব : জ্বরা-ব্যাধির প্রাতিজনিক চেতনা ও ওষুধ * ঐতিহাসিক পর্ব : জ্বরা-ব্যাধির প্রাকৃতিক কার্যকারণ ও ওষুধ ব্যবহার * ওষুধের অযৌক্তিক ব্যবহার
দ্বিতীয় অধ্যায় : কাকে বলে ওষুধ? * নতুন ওষুধ : উদ্ভাবন ও বাজারজাত * বাংলাদেশে নতুন ওষুধ * কি করে ওষুধ? কেমন করে করতে পারে? * ওষুধ-মাত্রা ও কার্যফলের সম্পর্ক * ওষুধ-কাজের ব্যবহারিক মূল্যায়ন
তৃতীয় অধ্যায় : ওষুধ-চিকিৎসার বিধি-বিধান * যৌক্তিক ওষুধ চিকিৎসা * ওষুধ-চিকিৎসার কয়েকটি বিশেষ দিক