দেশের উন্নয়ন সংস্থাগুলির অভিজ্ঞতা, কাজের ধারা, থিয়েটার দর্শন ইত্যদি আজ লিপিবদ্ধ? হওয়া প্রয়োজন। গ্রামে গঞ্জে আজ কাজ হচ্ছে অনেক। এ কাজের ফল কী? কতটুকুই বা সমাজ উন্নয়নে তা কাজে আসছে? উন্নয়নের জন্য নাটক বা ঞযবধঃৎব ভড়ৎ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ঞঋউ নিয়ে ১৯৭৮ থেকে শুরু হওয়া গবেষণার ফসল এই বই। বিশ্বের যে কোন প্রান্তে কর্মরত যে কোন একজন টি এফ ডি কর্মী অথবা শিক্ষার্থীর এই বইটি কাজে আসবে বলে আশা রাখি। এতে আছে উন্নয়ন ও উন্নয়ন থিয়েটার নিয়ে ভাবনা, বাংলাদেশে কর্মরত সাতটি এনজিও এবং উন্নয়ন থিয়েটার কর্ম পদ্ধতি ও পরিচিতি, উন্নয়ন থিয়েটার ও এর প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা, সবিমিলিয়ে বাংলাভাষায় এ ধরনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বই এই প্রথম।
শামসুল আলম বকুল- জন্ম ১৯৬০ এ ডিসেম্বর- এ পাবনা জেলায়। পাবনা জেলা স্কুল থেকে মাধমিক এবং সরকারী এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা থেকে উচ্ছ মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনার্সসহ এম.কম. ডিগ্রী ব্যবস্থাপনায়। তারপর চাক্রী জীবন এনজিও এর সাথে। নাটক জীবন শুরু স্কুলে পড়াকালীন। পরবর্তীতে শখ থেকে তা রূপ নেয় দায়িত্ববোধে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন ‘অনুশীলন নাট্যদল’-এর সাথে। চাকরী জীবনে ঢাকায় এসেও আব্যাহত থাকে নাট্যচর্চা। যোগ দেন ‘আরণ্যক নাট্যদল’-এ। পরবর্তীতে গঠন করেন নতুন থিয়েটার দল ‘দেশ নাটক’। এখনও সক্রিয়ভাবে এর সাথেই যুক্ত। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এর সাথেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন এবং দ্বিতীয়বারের মত এর গবেষণা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। উন্নয়নের জন্য নাটক বা heatre for Development নিয়ে কাজ শুরু করেন ১৯৭৮-এ, তা ছিল গ্রাম পর্যায়ে। পরবর্তীতে কর্মসূত্রে বিভিন্ন স্থানে এর প্রয়োগ ও অনুশীলন করেন। এই বইতে উল্লেখিত বেশ কিছু কাজ তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরা। heatre for Development বিষয়ে বাংলাদেশসহ ভারত, ইংল্যা-, ডেনসমার্ক, ফিলিপাইন ও নেপালে বিভিন্ন কর্মশালা ও অনুশীলন এর অভিজ্ঞতা তাঁর আছে এবং বর্তমানেও এই কর্মকান্ডের সাথে তিনি যুক্ত আছেন।