ইরাকের ডায়েরি : নারী-পুরুষ সম্পর্ক ও মার্কিন রাজনীতি হাস্নাহেনা
ডায়েরি লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট সময়কাল নয়মাস হলেও, দিনের হিসাবে ডায়েরি লেখা হয়েছে সাতাত্তর দিন। গণনার দিক থেকে কিংবা পরিমাণগতভাবে একে কম মনে হলেও এরই মধ্যে উঠে এসেছে একটি জীবনদর্শন। ইরাকের ডায়েরির ভাব ও বক্তব্যকে মোটামুটি তিনটি মোটা দাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথমত: ইরাককে নিয়ে আমেরিকার পলিটিক্স, যা পরোক্ষভাবে কিংবা মিডিয়ার মাধ্যমে জানা নয়। একেবারে মূর্তিমান দর্শন যা স্বচক্ষে এবং স্বকর্ণ প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে। দ্বিতীয়ত: জগৎ ও জীবন সম্পর্কে এবং চারপাশে যা কিছু বহমান সে সম্পর্কে এক ব্যক্তি সত্ত্বার ভ্রাম্যমাণ দৈনন্দিন অভিজ্ঞতাপ্রসূত একান্ত পর্যবেক্ষণ, উপলব্ধি ও ভাবনা। তৃতীয়ত: নারী এবং নারী পুরুষ সম্পর্ক। যা শুনতে তাত্ত্বিক মনে হলেও মূলত: তত্ত্ববর্জিত। ডায়েরিতে চলার পথের ঘটনা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে এবং লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ইরাকের ডায়েরিতে যে সব বিষয় ও ভাব ব্যক্ত রয়েছে তা অভিজ্ঞতা হিসাবে ব্যক্তিক হলেও জীবনবোধের ক্ষেত্রে সামগ্রিক। তাই ব্যক্তি আর সমগ্রকে পাঠকমনে সেতুবন্ধনে ইরাকের ডায়েরি একটি সরল রেখা।
হাস্নাহেনা ১৯৫২ সালের ৩রা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশুনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডস এর ইনস্টিটিউট অব সোশাল স্টাডিজ থেকে যথাক্রমে সমাজকল্যাণ এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়ে। চাকুরী জীবনের শুরুতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে (বার্ড, কুমিল্লা) অনুষদ সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন বেশ কয়েক বছর। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘের একটি সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার লেখা প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ : বিদ্রোহ করো নারী।
Title
ইরাকের ডায়েরি : নারী-পুরুষ সম্পর্ক ও মার্কিন রাজনীতি