"নিউটনের তিন সূত্র" বইটির ভুমিকা থেকে নেয়াঃ ‘নিউটনের তিন সূত্র’ একটি বিজ্ঞান কমিক্স। আমরা সবাই বিজ্ঞান কী সেটা জানি এবং কমিক কী সেটাও জানি কিন্তু আমার ধারণা আমাদের অনেকেই ‘বিজ্ঞান কমিক’ কী সেটা জানতাম না। নাসরীন সুলতানা মিতুর আঁকা এবং লেথা ‘নিউটনের তিন সূত্র’ টি দেখে সবাই নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে বিজ্ঞান কমিক কী! বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নিয়ে কমিক নয়, বিজ্ঞান নিয়ে কমিক! নাসরীন সুলতানা মিতুকে আমরা অনেকেই চিনি। সে কার্টুনিস্ট হিসেবে পরিচিত তার আঁকা আমার একটি কার্টুন প্রতিকৃতি আমার অফিসে ঝােলানাে আছে, কোনাে কারণে মন খারাপ হলে নিজের সেই প্রতিকৃতি দেয়ালে আমার মন ভালাে হয়ে যায়! মিতু শুধু যে কার্টুন আঁকে তা নয়, শিক্ষার বিষয়টি নিয়েও তার অনেক আগ্রহ এবং সে এর আগেও বিজ্ঞানের বইয়ের জন্য কাজ করেছে। তার হাতের ছোঁয়ায় শিশুদের বিজ্ঞানের বই একেবারে নূতন জীবন লাভ করেছে এরকটা উদাহরণ আছে। ‘নিউটনের তিন সূত্র” বইটি বিজ্ঞানের মােটামুটি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে খুব আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করার প্রজেক্ট! সত্যি কথা বলতে কী, যথন কোনাে ছেলে মেয়ে সত্যিকারের বিজ্ঞানের জগতে পা দিতে চায় তাকে নিউটনের সূত্রগুলাে দিয়েই সেটা শুরু করতে হয়। মিতু সেই প্রথম পদক্ষেপটি সহজ করার জন্য এই বিজ্ঞান কমিকটি দাঁড় করিয়েছে। ছবিগুলাে চমৎকার, গ্যালেলিও বেঁচে থাকলে কমিকটিতে তার চরিত্রটিকে দেখে আনন্দ পেতেন! নিউটনের সূত্রগুলাে সববয়সী মানুষের জন্য খুব সহজভাবে উপস্থাপন করেছে। বইটি পড়ে কেউ পদার্থবিজ্ঞানের সমস্যার সমাধান হয়তাে করতে পারবে না কিন্তু নিউটনের সূত্রগুলাের মূল বিষয়গুলাে নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারবে।
নাসরীন সুলতানা মিতু উন্মাদ পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক। পাশাপাশি রাজনৈতিক কার্টুন করছেন বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম এ। তার আরেকটা বড় পোশাকী পরিচয়- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর সহকারী অধ্যাপক। নিজে শুরু করেছেন বিজ্ঞান শিক্ষাকে ছোটদের কাছে জনপ্রিয় করার কার্টুন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান 'প্রজেক্ট টিকটালিক'।