"শ্বাশত ঈমানের পরিচয়" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আজ মুসলমানদের একটি বৃহৎ অংশ এতােটাই অজ্ঞ যে, তাদের সমস্ত চিন্তা-ভাবনা স্রেফ দু মুঠো খাবার নিয়েই। ঈমানের দিকে তাদের বিন্দু পরিমাণ ভ্রুক্ষেপ নেই। অপরদিকে এই মুসলিম উম্মাহর আরেকটি বৃহৎ অংশ পাথির্ব শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক অগ্রসর। যাদের মাঝে প্রচুর বুদ্ধিজীবী, মেধাবী ও যােগ্য ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। অথচ ধর্মীয় জ্ঞানের ক্ষেত্রে তারা এতােটাই রিক্তহস্ত যে, তাদের জানা নেই ঈমান কী জিনিস? ঈমানের চাহিদা কী? যার ফলশ্রুতিতে তারা মারাত্মক ধর্মবিরােধী। দৃষ্টিভঙ্গি ও অধর্মী মানসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। আনন্দের বিষয় হলাে, আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় শায়খ যুলফিক্কার আহমদ নকশবন্দী দা.বা. বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে ঈমান সম্পর্কে অত্যন্ত দালীলিক; বস্তুনিষ্ঠ ও সারাংশনির্ভর আলােচনা করেছেন । গ্রন্থ টিতে ঈমানের গুরুত্ব ও প্রয়ােজনীয়তা, সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও বিশ্লেষণ, ঈমান গঠনের পদ্ধতি, ঈমান ধ্বংসের কারণ ইত্যাকার বিষয়বস্তুর ওপর বিশদ আলােচনা করেছেন। আলােচ্য বিষয়ের বিচারে গ্রন্থটিকে ঈমান সম্পর্কিত সংক্ষিপ্তকোষ বলা যেতে পারে। বলা নিশ্চয়ই বাহুল্য হবে না, আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক | পাঠ্য হিসেবে বইটি সবার মনােযােগ আকর্ষণের দাবী রাখে ।
জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি (জন্ম: ১ এপ্রিল ১৯৫৩) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং নকশবন্দি তরিকার সুফি। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের ‘ঝং’ জেলায় অবস্থিত মাহদুল ফাকির আল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সালে ভারত ভ্রমণ করেন ভারতের হায়দরাবাদের ঈদগাহ বিলালী মনসাব ট্যাঙ্ক ও চঞ্চলগুদা জুনিয়র কলেজে কয়েকটি সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন। তারপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। দারুল উলুম দেওবন্দের মসজিদে রশিদ এবং দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখেন।