ইসলামাবাদ তথা চট্টগ্রামের কওমী মাদরাসার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও খ্যাতিমান ওলামায়ে কেরামের জীবনীসমৃদ্ধ এক অনবদ্য ঐতিহাসিক গ্রন্থ “মাশায়েখে চাটগাম’। আকাবিরে চট্টগ্রামের উপর বইটিকে ইনসাইক্লোপিডিয়া হিসেবে গণ্য করা হয়। যা ১৯৮৮ সাল থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। আশা করি মাশায়েখে চাটগামকে নতুন করে পরিচয় করে দিতে হবে না। এখন পাঠকদের নতুন করে আহমদ প্রকাশন উপহার দিচ্ছে #মাশায়েখে_চাটগাম_দ্বিতীয়_খণ্ড। মাশায়েখে চাটগাম দ্বিতীয় খণ্ডে কেবল উল্লিখিত আকবিরদের জীবনীই নয় সাথে সাথে সেখানে সন্নিবেশিত হয়েছে চট্রলার প্রসিদ্ধ বিভিন্ন মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ইতিহাসও। যেমনটি মাশায়েখে চাটগাম প্রথম খণ্ডেও ছিল। দ্বীনের জন্য যেসব আকাবির ত্যাগ-তিতীক্ষার সোনালী দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে গেছেন, তাদের অবিস্মরণীয় অবদান ও ইখলাছপূর্ণ জীবনী ইতিহাসাকারে সংরক্ষণ করার সংকল্প করেন আল জামিয়াতুল আরবিয়া জিরি‘র প্রতিষ্ঠাতা হাদিয়ে উম্মত আল্লামা শাহ আহমদ হাসান রহ.। তিনি তাঁর জীবদ্যশায় শতবছরের পুরানো আকবিরদের জীবনী সংগ্রহ করে একটি অপ্রকাশিত ও বিক্ষিপ্ত পান্ডুলিপি রেখে যান। পরবর্তীতে তাঁর সুযোগ্য নাতী, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান মুফতি ও মুহাদ্দিস ফক্বীহুদ্বীন আল্লামা মুফতী হাফেজ আহমদুল্লাহ সাহেব দা.বা.’র পুন:সম্পাদনা ও সংস্করণের মাধ্যমে মাশায়েখে চাটগাম’র বহি:প্রকাশ হয়। হযরত ফক্বীহুদ্বীন দা. বা. তাঁর নানাজির ধারিবাহিকতায় পরবর্তী আকিবিরদের জীবনীও সংরক্ষণ করার সংকল্প করেন এবং এই মহতি কাজ অর্পণ করেন তাঁর অনুগত শাগরিদ তরুণ লেখক মাওলানা মুফতি Ridwanul Kadir-কে। মুফতি রিদওয়ানুল কাদির শাইখের নির্দেশে মাঠপর্যায়ে নেমে পড়েন। আকাবিরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইতিহাসসমৃদ্ধ পুরানো জীবিত ব্যক্তিদের সাহায্য নিয়ে এবং প্রকাশিত অপ্রকাশিত বই বা লেখা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন দীর্ঘ সয়ম ধরে। এভাবে অহর্নিশি প্রচেষ্টায় মাশায়েখে চাটগাম দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশের মুখ দেখতে যাচ্ছে।
রাব্বে কারিম যদি চান, তাহলে আকাবিরদের জীবনী সংরক্ষণ করার এই মহতী উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।