"বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আরবি ফারসি উর্দু শব্দের অভিধান" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ড. মােহাম্মদ হারুন রশিদ সংকলিত ও সম্পাদিত বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আরবি ফারসি উর্দু শব্দের অভিধান বাংলা একাডেমির অভিধান প্রকাশনার ধারায় একটি উল্লেখযােগ্য সংযােজন। বর্তমান অভিধানটিতে প্রায় আট হাজার সাতশত ভুক্তি রয়েছে। তন্মধ্যে আরবি চার হাজার, ফারসি চার হাজার পাঁচশত এবং উর্দু ভাষার ভক্তি শতাধিক। প্রতিটি ভক্তিতে শীর্ষশব্দটি কোন ভাষার সেটি সংক্ষেপে দেখানাে হয়েছে। যেমন আরবি বুঝাতে ‘আ’, ফারসি বুঝাতে ‘ফা এবং উর্দু বুঝাতে ‘উ’ ব্যবহার করা হয়েছে। শব্দগুলাে বিন্যস্ত হয়েছে বাংলা বর্ণানুক্রমিকভাবে। শীর্ষশব্দ বা ভুক্তির বানান, অর্থ, পদনাম, লিঙ্গ ও বচন বাংলা লিপিতে এবং মূল শব্দের উচ্চারণ ও বানান আরবি লিপিতে লিখিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কবিসাহিত্যিকদের উদ্ধৃতি উপস্থাপন করে শীর্ষ শব্দের প্রয়ােগরীতি দেখানাে হয়েছে। অভিধানটির প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য হলাে এর সংকলিত শব্দাবলি মূল ভাষার বাংলায় রূপান্তরিত শব্দ। বাংলা ভাষায় প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত আরবি ফারসি উর্দু শব্দ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে অভিধানটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
Title
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আরবি ফারসি উর্দু শব্দের অভিধান
লেখক পরিচিতি ড, মােহাম্মদ হারুন রশিদ ১৯৬৯ সালের ১১ জুন যশােরের মনিরামপুর উপজেলায় মাছনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শরীয়াতুল্লাহ, মাতা ফাতেমা বেগম। তিনি ১৯৮৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দাওরায়ে-হাদীস (ফাজিল ডিগ্রি) এবং ১৯৮৮ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম শ্রেণিতে দারুল ইফতা (মুফতি ডিগ্রি) লাভ করেন। ১৯৯১ সালে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে এম.এ ১৯৯৩ সালে এম.ফিল এবং ২০০১ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলা একাডেমিতে উপ-পরিচালক পদে কর্মরত আছেন। তিনি সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ক্যাম্পাসে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের খন্ডকালীন অধ্যাপক। তিনি ১৯৯৪ সালে মাদ্রাসাতুল হাদিস নাজিরা বাজার ঢাকার প্রিন্সিপ্যাল ও শায়খুল হাদিস ছিলেন। এছাড়া তিনি আরব-বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক, আই.সি.বি ইসলামীকে মিউচুয়াল ফান্ডের শরীয়াহ সুপারভাইজারি বাের্ডের সম্মানিত সদস্য। তাঁর লেখা প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তেরােটি। যথাক্রমে: ক্রোধ (অনুবাদগ্রন্থ), বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন (প্রকাশক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ), জীবনের উদ্দেশ্য (অনুবাদগ্রন্থ), বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (আরবি, উর্দু ও ফার্সি অংশ), আল-কুর’আনের বঙ্গানুবাদ, জসিমউদ্দীন স্মারকগ্রন্থ (সম্পদিত, প্রকাশক : বাংলা একাডেমি), একুশের নির্বাচিত প্রবন্ধ: বাংলা একাডেমি লেখক অভিধান, আল্লাহর নৈকট্য লাভের সহজ উপায়, ডিজিটাল ভার্সন অব দি হলি কুর’আন (ধর্মমন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত), বৃহত্তম দোয়ার ভান্ডার সবর একটি মহগুণ। এছাড়া লেখকের সংকলিত ও সম্পাদিত একটি অভিধানসহ আরাে কয়েকটি গ্রন্থ রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়।