সাম্প্রতিক রচিত কবিতার এই সংকলনে হায়াৎ সাইফ এই ভূখ-ন্ডের পাললিক জীবনের ভেতর থেকে ছেঁকে তুলেছেন আমাদের বর্তমান অস্তিত্বের নানাবিধ ব্যাখ্যা ও তাঁর স্বকীয় দর্শন বর্তমান কালের বর্ণনা ভঙ্গিমায়, তাঁর নিজস্ব ঈর্ষণীয় ভাষায়, অনবদ্য চিত্রকল্পে ও স্বভাব সুলভ পরিচর্যায়। কবিতার রুচিবান ও নিবিষ্ট পাঠককে কবিতাগুলোসমূহ আনন্দিত করবে বলে আমাদের নিশ্চিত বিশ্বাস।
হায়াৎ সাইফ জম্ম : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪২, ঢাকা। দেশ, কাল, মাটি ও মানুষ-এ সমস্তই হায়াৎ সাইফের বৌদ্ধিক আত্মিক ও নান্দনিক অভিনিবেশের বিষয়। ঘূর্ণিউত্তাল ষাটের দশকের অন্যতম প্রোজ্জ্বল ও বিশিষ্ট কণ্ঠস্বর তিনি। বাংলা কবিতার ধারাবাহিকতায় ষাটের দশক আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক অস্তিত্বের জন্যে সংগ্রামী ও প্রদীপ্ত আত্ম-উম্মোচনের সময়। পঞ্চাশোত্তর কালের সমাগত নতুন প্রজম্মের এই কবিদের রচনায় ফুটে উঠেছিল দ্রোহ, বিতরাগ, আত্মনির্যাতন ও আত্মজাগতিক কিছু অভিনব লক্ষণ। এঁরা কবিতাকে সমকালীন রুচির তাগিদে যেমন ভেঙে সাজাতে চেয়েছিলেন তেমনি বাংলা কবিতার মূল ধারাটিকে নিষ্ঠার সঙ্গে বহন করেছিলেন অন্তরে। এঁদের মধ্যে যাঁরা ধ্রুপদ-অম্বিষ্ট ছিলেন হায়াৎ সাইফ সেই প্রজ্ঞাবান ধারার এক বিরল রূপকার।
নিভৃতচারী, পরিশীলিত, শাব্দিক নান্দনিকতায় দায়বদ্ধ কবি দু হাজার ন’য়ের ডিসেম্বরে আটষট্টি বৎসরে পদার্পণ করেছেন। প্রায় পাঁচ দশক ধরে অনবরত পরিমার্জনা ও সংগোপন চর্চায় তিনি আবহমান বাংলা কবিতার ব্যপ্ত পরিম-লে নির্মাণ করে নিয়েছেন তাঁর নিজস্ব একটি ঘরানা যার ভিত্তি হাজার বছরের বাংলা কবিতার অনিবারণীয় প্রাণ শক্তি এবং আমাদের আত্মপরিচয়ের দুর্মর পলিমাটি।
জন্ম ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪২, ঢাকা। দেশ, কাল, মাটি ও মানুষ - এই সমস্তই হায়াৎ সাইফের বৌদ্ধিক, আত্মিক ও নান্দনিক অভিনিবেশের বিষয়। ঘূর্ণি-উত্তাল ষাটের দশকের রুচিবান ধ্রুপদ-অন্বিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক । ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র । রবীন্দ্রচর্চা তাঁর মনােযােগের একটি প্রধান বিষয়।