একটি লােকের জীবন ও কাজ তার পরিবেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। শিল্প ও পরিবহনের উন্নতি, কৃষিব্যবস্থার যন্ত্ৰীকরণ এবং জীবনযাত্রার গতির সার্বত্রিক ত্বরণ প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের আঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করে। শিল্পসংক্রান্ত নিরাপত্তার লক্ষ্যে সচেতন প্রয়াস এবং নিরাপত্তার কৌশল ও প্রণালীর উন্নতি সত্ত্বেও, কলকারখানায় বিশেষত প্রাত্যহিক জীবনে দুর্ঘটনার হার এখনও যথেষ্ট। আঘাতের ধরন ও যেভাবে আঘাত আসে সেগুলি বহুবিধ। সেজন্য প্রয়ােজন অবিলম্বে প্রাথমিক চিকিৎসা। কারণ এগুলির সঙ্গে জড়িত থাকে বহ, জটিল উপসর্গ যা-কিনা মারাত্মক হতে পারে। তাই ঘটনাস্থলেই আহতকে যথাসম্ভব দ্রুত চিকিৎসা-সাহায্য যােগান প্রয়ােজন এবং উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার সযােগ সম্বলিত ও প্রয়ােজনে অস্ত্রোপচারও সম্ভব, এমন প্রতিষ্ঠানে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠান প্রয়ােজন। গভীর-আঘাতপ্রাপ্ত একটি লােকের জীবন এবং পরবর্তী চিকিৎসার ফলাফল প্রায়ই দুত সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসার উপর নির্ভরশীল। সাধারণ দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্বিপাকে (অগ্নিকাণ্ড, ভূমিকম্প, ইত্যাদি) যানবাহন এবং শিল্পসংক্রান্ত দুর্ঘটনা ইত্যাদিতে আত্মচিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞান এবং অন্যদের সাহায্যদান বিশেষ প্রয়ােজন। এসব ক্ষেত্রে সবসময়ই চিকিৎসাবিদ্যার জ্ঞানসম্পন্ন লােকের অভাব দেখা যায়।