"মোহাম্মদ আলীর বাংলাদেশ বিজয়" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: মুষ্টিযােদ্ধা মােহাম্মদ আলী ছিলেন বিশ্বের সর্বকালের একজন শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ। মুষ্টিযােদ্ধা পরিচয়ের বাইরেও তিনি ছিলেন একজন অভিনেতা, গায়ক, লেখক, কবি, বক্তা, শান্তিবাদী নেতা ও গরিবের বন্ধু । যখন তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে, সেই ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। ঢাকা ছাড়াও ঘুরে বেড়ান চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট ও কাপ্তাইয়ে। তখন তাঁকে বাংলাদেশের সাম্মানিক নাগরিকত্ব আর বাংলাদেশের পাসপাের্ট দেওয়া হয়। আমেরিকার শিকাগাে শহরে বাংলাদেশের সম্মানিত কনসাল জেনারেল হিসেবেও নিয়ােগ দেওয়া হয় তাঁকে। এ সময় মােহাম্মদ আলী গােজ ইষ্ট: বাংলাদেশ—আই লাভ ইউ নামক একটি তথ্যচিত্রে তিনি অভিনয় করেন। এ ছাড়া ঢাকায় বাংলাদেশের কিশাের মুষ্টিযােদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে এক প্রদর্শনী মুষ্টিযুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাদেশে যেখানেই তিনি গেছেন, সেখানে হাজার হাজার মানুষ তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে। এ দেশের মানুষের আতিথেয়তায় তিনি এবং তাঁর পরিবার অভিভূত হন। বাংলাদেশের জনগণকে ‘চমৎকার’ ও এ দেশকে ‘স্বর্গ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। কিংবদন্তি মহানায়ক মােহাম্মদ আলীর সপরিবার বাংলাদেশ সফরের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে এ বইয়ে; যাতে একজন রসিক, সজ্জন ও বাংলাদেশপ্রেমী বিশ্ববিখ্যাত মানুষের জীবন ও ব্যক্তিত্বের নানা দিক উঠে এসেছে।
মুহাম্মদ লুফুল হক জন্ম ১৯৫৫, দিনাজপুরে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে। কমিশন পান। ২০০৫ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসর নেন। বাঙালির সামরিক ইতিহাস এবং স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে। গবেষণা করছেন। প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ : স্বাধীনতাযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব। ' (২০০৬), বাঙালি পল্টন: ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি রেজিমেন্ট(২০১২)। সম্পাদনা : রাজশাহী ১৯৭১ (যৌথ, ' ২০১২), কামালপুর ১৯৭১ (২০১২),। মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্স (২০১৩), দিনাজপুর ১৯৭১ (২০১৩)।