ন্যানো কাব্য আসিফ মেহ্দী ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলেন ২০০৮ সালে। তারপর থেকে স্ট্যাটাস হিসেবে পোস্ট করতে থাকেন একের পর এক ছোট-ছোট ছড়া। প্রাত্যহিক জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট-বড় সব ঘটনা নিয়ে স্ট্যাটাসগুলো পোস্ট করতেন বলে এই ছড়াগুলো আসলে মানবজীবনেরই প্রতিচ্ছবি। ছড়াগুলোতে কখনো ফুটে উঠেছে প্রেম, কখনো বিরহ। কখনো দেখা দিয়েছে হাসি আর আনন্দ, কখনো কান্না আর বেদনা। এসেছে আবেগ, আবার যুক্তিও বাদ পড়েনি। আসিফ মেহ্দীর স্ট্যাটাসের সেই ছোট ছোট ছড়াগুলোরই সংকলন ‘ন্যানো কাব্য’। ছড়াগুলো আপনাকে কখনো শুধুই আনন্দ দেবে, কখনো আবার ভাবাবে খুব! ন্যানো প্রহর আসিফ মেহ্দী জীবনের নানা অনুভূতি তাঁর ছড়া, গল্প আর উপন্যাসে তুলে ধরেন বেশ সাবলীলভাবে। ‘ন্যানো প্রহর’ নামের এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। তাঁর আর সব ছড়া-কবিতার মতো এই বইয়ের কাব্যগুলোও আসলে মানবজীবনেরই প্রতিচ্ছবি। জীবনের নানা সময়, নানা প্রহরে সুখ-দুঃখ আর হাসি-কান্নার মিশেল যে ছোট ছোট অনুভূতিগুলো আমাদের জীবনে ধরা দেয়, সেই অনুভূতিগুলোই ব্যক্ত হয়েছে বইয়ের ন্যানো কাব্যগুলোতে। জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ওই নির্দিষ্ট প্রহরগুলোকেই লেখক বইবন্দী করেছেন ‘ন্যানো প্রহর’ আখ্যায়িত করে। বইয়ের হরেক রকম কাব্যগুলোতে আমি আমার অনুভূতিগুলো খুঁজে পেয়েছি। দেখা যাক আপনি কতটা পান আপনারগুলো! - পাভেল মহিতুল আলম
সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহ্দীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সাম্প্রতিক সময়ে লিখছেন দেশসেরা কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন।
এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সহধর্মিনী মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।