"সাইমুম সিরিজ - ৫৮ : রত্ন দ্বীপ"বইটির শেষের ফ্লাপের কিছু কথা: ভূমধ্য সাগরের অথৈ জলে ভাসমান- সবার চোখের আড়ালে গুপ্তধন সঞ্চিত একটা দ্বীপ । নাম নিউ ট্রেজার। আইল্যান্ড-নতুন রত্ন দ্বীপ । এই নতুন রত্ন দ্বীপে দুই লাখ। মানুষের বাস। দ্বীপের ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ১২। হাজার মুসলিম, খৃস্টান ৭ হাজার এবং ১ হাজার ইহুদি।। শান্তি, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের প্রতিচ্ছবি যেন দ্বীপটা- সব ধর্মের লােক সরকারে অপরিহার্য । ধীরে ধীরে দ্বীপের। সুখ, শান্তি ও গণতন্ত্রে লাগল আগুন, সন্দেহ, অবিশ্বাস আর বিভেদ। সংঘাত মাথা তুলল দ্বীপে, আতংকিত হয়ে উঠলাে মানুষ! দৈবচক্রে অবসর কাটাতে আসা আহমদ মুসা জড়িয়ে পড়ল ঘটনায়...পরিচয় পেয়ে দ্বীপের। ভীত-সন্ত্রস্ত সরকার আহমদ মুসার সাহায্য নিল। সামনে এগােতে গিয়ে আহমদ মুসা দেখল দৃশ্যমান যে সংকট তার চেয়ে ষড়যন্ত্র অনেক বড়! আর এই সংকট ষড়যন্ত্রের মূল টার্গেট নয়, সিড়ি মাত্র। এই সিড়ি কোথায় পৌছার জন্যে? প্রশ্নের সন্ধান করতে গিয়ে আহমদ মুসার সামনে আসে ভূমধ্য সাগরের বিশাল ইতিহাস । কি সেই ইতিহাস? ক্ষুদ্র এই নতুন রত্ন দ্বীপের মাটিতে সঞ্চিত। আছে কাড়ি কাড়ি স্বর্ণ মুদ্রা? কাদের এই অঢেল স্বর্ণ মুদ্রা? স্পেন থেকে বিতাড়িত ভাগ্যাহত, ভুমধ্য সাগরে ডুবে যাওয়া মুসলমানদের? আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানদের? না অন্য কারাে? সােনার টানে ছুটে এল। ষড়যন্ত্রর পেছনের ভয়ঙ্কর সব দানবরা... ওদের দেশ। নেই, নাম নেই, পরিচয় নেই, অদৃশ্য ওরা! ছায়ার সাথে। শুরু হলাে ভয়ংকর লড়াই। রত্ন দ্বীপ নিয়ে এল সেই ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের চরম এক কাহিনী।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস সিরিজ ‘সাইমুম সিরিজ’ হলো লেখক আবুল আসাদ এর বই। এই একটি বাক্যই যথেষ্ট প্রখ্যাত সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট এবং সাহিত্যিক আবুল আসাদকে পরিচিত করিয়ে দেবার জন্য। গুণী এই লেখক ও সাংবাদিক ১৯৪২ সালের ৫ই আগস্ট রাজশাহী জেলার অন্তর্গত বাগমারা থানার নরসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এ. কে. ছামছালুল হক ভারতের বেনারসের মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভকারী একজন আলেম ছিলেন। সে সূত্রে পারিবারিকভাবেই তিনি ইসলামিক শিক্ষা লাভ করেন। মেধাবী ছাত্র আবুল আসাদ মাধ্যমিক শেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং অর্থনীতিতে এম.এ পাস করেন। ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয় তার। রাজশাহীর একাধিক দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯৭০ সালে দৈনিক সংগ্রামে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৮১ সালে তিনি সংগ্রামের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন, যে পদে তিনি আজও কর্মরত আছেন। আবুল আসাদ এর বই সমগ্র পাঠকদের কেবল আনন্দই দেয় না, বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতনও করে। বিশেষ করে সাইমুম সিরিজের প্রকাশিত ৬১টি বই কেবল থ্রিলারই নয়, এগুলো ইসলামিক ইতিহাস, ভূগোল আর সংস্কৃতির পাঠও। সাইমুম সিরিজ ছাড়াও আবুল আসাদ এর বই সমূহ এর মাঝে আছে ‘কাল পঁচিশের আগে ও পরে’, ‘আমরা সেই সে জাতি’ (৩ খণ্ড) ‘সময়ের সাক্ষী’ এবং প্রবন্ধ সংকলন ‘একুশ শতকের এজেন্ডা’। গুণী এ লেখক তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন।