ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমাদের শুধু মিথ্যে ডাকাডাকি ঘুরে ফিরে ঘূরে ফিরে, পাখি ঠিক উড়ে যায় পাখি ঠিকই বাড়ি ফেরে।
ভূমিকা ‘গুটি কবিতা’ লেখা শুরু হয় যখন থেকে বিজ্ঞাপন কাজ করি। ২০০৭-এর শুরুর দিকের কথা, ‘ইউনিট্রেড,-এ কপি রাইটার হিসেবে যোগদানের পর, কোমল পানীয় থেকে আইপিএস নিয়ে ট্যাগ লাইন বা ক্যাম্পেইন লাইন চিন্তা করার ফাঁকে ফাঁকে দুই তিন লাইনের এই কবিতাগুলো ঘোরাফেরা করতো ডাইরিতে। লাইন কম বলে কিনা জানি না, এদের আচার-আচরণ হতো শিশুদের মতো, এদিক-ওদিক, এলোমেলো, নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যহীন। তারপর, লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন, অন্যান্য পারিবারিক এবং বড় হয়ে ওঠা সংক্রান্ত জটিলতায় যাবতীয় কবিতা অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নয়। সেই ছুটি শেষ হয় ‘গ্রে’-তে বসে ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় জন্য এক ক্যাম্পেইন ডিজাইন করার সময়। ইতিমধ্যে ৪ বছর চলে গেছে! আমি তখন অ্যাকটিং কপি-হেড, ভাবে-সাবে হোমড়া-চোমড়া একজন মানুষ। ক্যাম্পেইন করার ফাঁকে খাতায় লিখলাম, ‘কবিতার ছুটি হয়ে গেছে, বাহারী আলোয়... সুরা সমৃদ্ধ বদলের মিথ্যে অজুহাতে’, ব্যস, ঠিক তখনই কেন যেন মাথার জট খুললো! কবিতা আসলো বিপুল সমারোহ। বড় কবিতার সাথে সাথে গুটি কবিতারাও এসে যোগ দিল, তবে এবার তার আর শিশুতোষ নেই, কেমন যেন সাহসী, বড় বড় ভাব। আগের চেনা পরিচিতি মুখগুলোর পাশাপাশি কিছু অপরিচিত মুখও ঘোরাফেরা করে গেছে এই পান্ডুলিপি জুড়ে। হঠাৎ হঠাৎ ফুড়ুৎ করে উড়ে গেছে একঝাঁক পাখি। আর এদের সবাইকে নিয়ে আলাদা করে বলতে গেলে বি... শা...ল এক গল্প হয়ে যাবে। মূলত চার লাইনের কবিতার এই সংকলনে সেই বিশাল গল্প ‘বারো হাত কাকুড়ের, তের হাত বীচি’-এর মতনই হবে বেমানান! তাহলে আজ এইটুকু থাক? গুটি কবিতায়, স্বাগতম!!!
নিজেকে নিয়ে তেমন কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল না। প্রকাশক বললেন তাতে নাকি খারাপ দেখায়। সুতরাং এই লেখাটি তাকে খুশি করার জন্য লেখা । ২০০৬ এ বুয়েট থেকে পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমাপ্তি । তখনও তুমুল উন্মাদে লেখালেখি আর মঞ্চে অভিনয় চলে। হঠাৎ করেই টিভিতে অভিনয় হুমায়ূন স্যার এর নাটকে। তারপর একে একে বিজ্ঞাপন, উপস্থাপনা, অভিনয় ইত্যাদিতে টিভিতে ব্যস্ত বেশ কিছু দিন।। এর মধ্যে লেখালেখি চলেছে কবিতা, গানে, স্ক্রিপ্টে । ততদিনে বিজ্ঞাপনে কাজ করি। আর স্বপ্ন দেখি সিনেমা। বানানাের। তাই প্রায় হুট করেই কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে, ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় ফিল্ম প্রডাকশনের উপর সেকেন্ড ব্যাচেলর করতে যাই ২০১০ এ। বর্তমানে পড়াশােনা শেষ করে প্রডাকশন কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছি অস্কার বিজয়ী ভিএফএক্স স্টুডিও মুভিং পিকচার কোম্পানি (এমপিসি) তে । খুব খুব ইচ্ছা ২০১৬-এর শেষে, মানে সামনের বছর বাংলাদেশে। একটি পুর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের ।। এখন দেখি কপালে কী থাকে ।