"আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি (২য় ভাগ)" বইয়ের ভূমিকা: বহুপূর্বে কলিকাতার প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরী শিক্ষা বিষয়ে দুইখানি মূল্যবান পুস্তক প্রকাশ করিয়াছিলেন। শিক্ষা এবং আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি। এগুলির লেখক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রমনীরঞ্জন সেনগুপ্ত ও সুবোধ কুমার সেনগুপ্ত। ১৯৭৫ সালে প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরীর সত্ত্বাধিকারী শ্রদ্ধাভাজন অনিল চন্দ্র ঘোষ মহাশয়ের অনুরোধে আমরা ঐ পুস্তক দুইটি নতুন করিয়া লিখিয়া দিই এবং ১৯৮৪ সালে মাননীয়া নীলিমা ঘোষের অনুরোধে আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংযোজন করিয়া দিই। তাহার পর অনেক দিন অতিক্রান্ত। প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে অনেক পরিবর্তন ঘটিয়াছে। প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরীর বর্তমান সত্ত্বাধিকারী শ্ৰীমতী সুভদ্রা দে (ঘোষ)-এর অনুরোধে আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি নূতন করিয়া সংশোধিত ও লিখিত হইয়াছে। পুস্তকের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনেক বেশী হওয়ায় ইহা দুইটি ভাগে ভাগ করিয়া প্রকাশিত হইল। প্রথমভাগে শিক্ষাবিজ্ঞান, অর্থাৎশিক্ষার আধুনিক ভাবধারা, শিক্ষা মনোবিজ্ঞান এবং বিদ্যালয় সংগঠন, পরিচালনা ও মূল্যায়ন। দ্বিতীয় ভাগে বাংলা, গণিত,ইতিহাস,ভূগোল, প্রকৃতি বিজ্ঞান ও ইংরাজীর বিষয়জ্ঞান ও পাঠন পদ্ধতি।