"আকু-থের্যাপি" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ মানুষ বাঁচতে চায়, সুন্দর ভাবে বাঁচতে চায়। বেঁচে থাকার এই অনন্ত তৃষ্ণা নিরন্তর মানুষকে ভাবিয়ে তােলে। বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতি সহজ হলেও ডাক্তার, ঔষধ ও রােগ নির্ণয়ের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়ােজন। যা আমাদের দেশের মত গরীব, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের পক্ষে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। তাছাড়া যান্ত্রিক যুগে অনেক রােগের চিকিৎসা আবিস্কার হলেও সব রােগ নির্ণয় ও চিকিৎসা আবিস্কৃত হয়নি। আকুপ্রেশার পদ্ধতিতে রােগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সুপ্রাচীন। প্রাচীন ভারতে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি প্রচলিত ছিল বলে ধারনা করা হয় (সুশ্রুত সংহিতার মতে)। আধুনিক বিশ্বে এই আকুপ্রেশার পদ্ধতিকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা: উইলিয়াম ফিটজেরাল্ড (১৮৭২)। ১৯৭৭ সালে ভারতে শ্রী দেবেন্দ্র ভােরা এবং ২০০৫ সালে জনাব সাগর সগীর বাংলাদেশে প্রথম এই চিকিৎসা শুরু করেন। আকুপ্রেশার পদ্ধতিতে চিকিৎসা কোন কল্পকাহিনী নয়; এটি বাস্তব, বৈজ্ঞানিক যুক্তিনিষ্ঠ, ফলপ্রসুত ও কার্যকর পদ্ধতি। এই পদ্ধতির চিকিৎসা দেশের বিশিষ্ট গুনীজন কর্তৃক প্রশংসিত ও স্বীকৃত। খরচবিহীন এই সুচিকিৎসা পদ্ধতিটি প্রচার ও প্রসার লাভ করলে গরীব, অসহায়, প্রান্তিক জনগােষ্ঠী সহ সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। রাসায়নিক ও কৃত্রিম চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ সমৃদ্ধজীবন গঠনে গ্রামবাংলার হাজারাে মানুষের জীবন সতেজ ও স্বাভাবিক বিকাশ প্রস্ফুটিত করার প্রয়াসে বইটি অপরিসীম অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আশাকরি বইটির প্রকাশ সকলকে উপকৃত ও অনুপ্রাণিত করবে।