ধ্রুবর একটি গল্পের চরিত্র তার দাদা সম্পর্কে বলে, ‘দাদা হলাে শুধু পৃথিবীর না, সৌরজগতের, ছায়াপথের, মহাবিশ্বের বেস্ট দাদা। পৃথিবী থেকে সৌরজগৎ, সৌরজগৎ থেকে ছায়াপথ, ছায়াপথ থেকে মহাবিশ্ব-এই হলাে ধ্রুবর চলাচলের সীমানা। ইংরেজি ভাষায় একটি কথা আছে, Sky is the limit, ধ্রুবকে নিয়ে বলা যায় তাঁর limit হচ্ছে মহাবিশ্ব তথা Universe। বিজ্ঞান কল্প-উপাখ্যান রচনা করতে গিয়ে ধ্রুব গ্রহ-গ্রহান্তরে ঘুরে বেড়ান। এই বইটির চারটি গল্পেই তিনি তৈরি করেছেন পৃথিবীর সমান্তরাল এক গ্রহ-টিউনিয়া। টিউনিয়ানদের একটি প্রবণতা হলাে, অষ্টম মাত্রার প্রাণী হওয়া সত্ত্বেও এই পৃথিবীতে এসে মানুষ হিসেবে তৃতীয় মাত্রার প্রাণী হয়ে তারা কিছুদিন অতিবাহিত করতে চায়। কী আছে এই পৃথিবীতে যা তাদের এতটা টানে? শুধু কি তাই? মানুষ হয়ে কিছুদিন কাটাবার পর টিউনিয়ানরা আর নিজগ্রহে ফিরে যেতে চায় না। এই পৃথিবীর মায়া তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। পৃথিবীতে এসে টিউনিয়ানদের মানবিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সেই কাহিনি যেমন মধুর তেমন মর্মস্পর্শী। ধ্রুব এষ তাঁর এই গল্পগুচ্ছে বিজ্ঞান কল্প-উপাখ্যানের এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন।
জন্ম ৭ জানুয়ারি ১৯৬৭, উকিলপাড়া, সুনামগঞ্জ, মা : লীলা এষ, বাবা : ভূপতি রঞ্জন এষ। সার্বক্ষণিক প্রচ্ছদশিল্পী। পাশাপাশি লিখেন। মূলত ছোটদের জন্য লিখলেও লিখতে পছন্দ করেন রহস্য কাহিনি। বড়দের। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত চল্লিশের অধিক বই প্রকাশিত হয়েছে।