Mnemonics কি ? Mnemonics make use of elaborative encoding, retrieval cues, and imagery as specific tools to encode any given information in a way that allows for efficient storage and retrieval. - Wikipedia.
Mnemonics এর সবথেকে সহজ-সরল সংজ্ঞা হলো- যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করে কোনকিছু’কে সহজেই মনে রাখা যায়, সেসব পদ্ধতিকেই Mnemonics বলে। কোনকিছু দ্রুত মাথায় গেঁথে রাখার জন্য ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার মানুষও Mnemonics পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। জানা যায় সর্বপ্রথম প্লেটো-অ্যারিস্টটলের মত গ্রীক সোফিস্ট এবং দার্শনিকরা এই পদ্ধতি প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন। এরপর বিভিন্ন সময় অনেকেই সহজে মনে রাখার কৌশল খুজতে গিয়ে আবিস্কার করেছেন যে- Mnemonics’ই হলো মনে রাখার সবথেকে কার্যকরি উপায়।
Mnemonics কিভাবে কাজ করে? ধরুন আপনি সম্পূর্ণ নতুন একটি দেশে ঘুরতে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে আপনি অদ্ভুত ও নতুন ধরণের একটি প্রাণী দেখতে পেলেন। এখন আপনার মস্তিষ্ক করবে কি, প্রথমেই এই নতুন প্রাণীটিকে আপনার চেনা কোন একটি প্রাণীর সাথে মিলিয়ে নেবে। আপনি হয়ত নিজের অজান্তেই বলে ফেলবেন- এই অদ্ভুত প্রাণীটির কানগুলোতো একদম খরগোশের মত! অথবা এর পাগুলো তো একদম হাঁসের মত! আসলে সম্পূর্ণ নতুন জিনিস মনে রাখতে আমাদের মস্তিষ্কের বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। ফলে সে সবসময়ই চায় পুরনো কোন বস্তু বা ঘটনার সাথে মিলিয়ে নতুন কিছুকে মনে রাখতে। আর আরেকটি বিষয় জেনে রাখা দরকার- আমাদের মস্তিষ্ক টেক্সট/লেখার চেয়ে ইমেজ বা ঘটনা সহজে মনে রাখতে পারে। আসলে আমাদের মস্তিষ্ক টেক্সটগুলোলেও মূলত ইমেজ হিসেবেই মনে রাখে। লক্ষ্য করে দেখবেন, আপনার মস্তিষ্ক পরিচিত শব্দগুলোকে ইমেজ হিসেবে সেভ করে রেখেছে। ফলে আপনি শব্দটি দেখা মাত্রই বুঝে যান যে শব্দটি আসলে কি! ফলে আপনাকে আলাদা-আলাদা অক্ষর দেখে বানান করতে হয় না। এখানে মূল বিষয়টি হচ্ছে- কিছু অক্ষরের থেকে, কোন ঘটনা বা একটি ছবি মস্তিষ্কের কাছে মনে রাখার জন্য সহজ। ফলে আপনি যদি কোন শব্দকে পরিচিত কোন শব্দ, ছবি বা ঘটনার সাথে মিলিয়ে বা সম্পর্কিত করে মনে রাখার চেষ্টা করেন, তবে সেটা বেশি কার্যকরি হয়। আর একারনেই Mnemonic পদ্ধতিটি শব্দ শেখার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি কার্যকরি।