"দ্য আলকেমিস্ট"বইটির শেষের ফ্লাপের কিছু কথা: সমস্ত যাদুকরী ভ্রমণকাহিনীর শ্রেষ্ঠ কাহিনী : কোনাে একজন মানুষের ভাগ্য অনুসন্ধানের পূর্ণ সংগ্রাম। দ্য আলকেমিস্ট হচ্ছে সেই গ্রন্থ যারা এখনই তাদের। স্বপ্নকে ভাগ্যে পরিণত করতে চায়। -এ্যান্থনি রবিনস, লেখক, এ্যওয়কেন দ্য জায়েন্ট উইথদিন ‘দ্য আলকেমিস্ট' হচ্ছে পরিচ্ছন্ন আনন্দ এবং অঢেল অনুপ্রেরণার উৎস। গল্পটা স্বর্গীয় আদেশ অনুসন্ধান, পাথিব যন্ত্রণা, অপূর্ব মননশীলতা এবং অসীম শক্তিকে সমন্বয় করেছে। -ম্যালকম বয়েড, লেখক, আর ইউ বার্নিং উইথ মি, জিসাস? এবং মডার্ন ম্যাচিউরিটি কলামিস্ট পাউলাে কোয়েলাে আমাদের নিজের চোখে, অন্যের চোখ ব্যতিরেকেই, নিজের। স্বপ্নকে দেখার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। - লিন এনড্রস, লেখক, দ্য মেডসিন ওমেন ট্রিলজি কয়েক যুগের মধ্যে হয়ত এমন একটা বই প্রকাশিত হয় যা সত্যিকার অর্থেই পাঠকের জীবন চিরকালের জন্য বদলে দেয়। পাউলাে কোয়েলাে’র ‘দ্য আলকেমিস্ট’ এমন একটা বই । সারা পৃথিবী জুড়ে ২০ মিলিয়ন কপি বই বিক্রি এবং ৪২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। দ্য আলকেমিস্ট ইতােমধ্যেই আধুনিক ক্লাসিক সাহিত্যের মর্যাদা অর্জন করেছে। এ হচ্ছে স্যান্টিয়ােগাে নামের আব্দুলশিয়ান অঞ্চলের এক রাখাল যুবকের যাদুকরী কাহিনী, যে শূন্যহাতে তার ভাগ্য অনুসন্ধানে মিশরের মরুভূমিতে রত্নভাণ্ডার আবিষ্কার করতে ভ্রমণ শুরু করে। বাড়ি স্পেন দেশে, তানজিয়ের-এর পথে এবং শেষতক মিশরের মরুভূমিতে যাত্রা করে যেখানে তার সাথে একজন আলকেমিস্ট-এর সাক্ষাৎ হবার সৌভাগ্য অপেক্ষা করে। কাহিনী আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে, বলতে গেলে, খুব কম মানুষই আছেন যারা হৃদয়ের কথা বােঝার মতাে প্রয়ােজনীয় জ্ঞান, জীবন পথের সমস্ত শুভ লক্ষণ এবং সর্বোপরি স্বপ্নকে বুঝতে পারে ।
ব্রাজিলিয়ান ঔপন্যাসিক পাওলো কোয়েলহো ডি’সুজা ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট দেশটির রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে জন্মগ্রহণ করেন। একই শহরে তার শিক্ষাজীবনের শুরু এবং বেড়ে ওঠা। আইন বিষয়ে কিছুদিন পড়াশোনার পর ভ্রমণের নেশায় তা আর শেষ করতে পারেননি। ঐ সময়টা ভবঘুরের ন্যায় ঘুরে বেড়িয়েছেন মেক্সিকো, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, চিলিসহ ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে। এর পরপরই ছোটবেলার স্বপ্ন বই লেখাকে বাস্তবে রূপ দেন। ১৯৮২ সালে ‘হেল আর্কাইভস’ নামক বই দ্বারা সাহিত্য অঙ্গনে প্রবেশ করেন। তবে এই প্রবেশ আকর্ষণীয় ছিলো না। এমনকি দ্বিতীয় প্রকাশিত বই ‘প্রাক্টিক্যাল ম্যানুয়েল অব ভ্যাম্পায়ারিজম’ তার নিজেরই অপছন্দের তালিকায় ছিলো। ১৯৮৭ সালে ‘পিলগ্রিমেজ’ এর পর ১৯৮৮ সালে প্রকাশ পায় তার আরেক বই ‘দ্য আলকেমিস্ট’। পাওলো কোয়েলহো এর বই হিসেবে ‘দ্য আলকেমিস্ট’ বইটিই মূলত কোয়েলহোর লেখক-জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবে ‘৮৭ সালে বইটি প্রকাশিত হয়েছিলো ব্রাজিলের একটি ছোট প্রকাশনা সংস্থা থেকে, যারা ন’শোর বেশি কপি ছাপাতে নারাজ ছিলো। ১৯৯৩ সালে একই বই আমেরিকার বিখ্যাত প্রকাশনী হারপার কলিন্স থেকে প্রকাশিত হলে পাঠক মহলে হুলুস্থুল পড়ে যায়। বইটি এখন পর্যন্ত মোট ৮০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, যা পাওলো কোয়েলহো এর বই সমূহ এর মাঝে অনন্য। কোয়েলহোর কাহিনীগুলোর বিশেষত্ব হলো তার কল্পনাশক্তির জাদুকরী মোহ। কোনো সরল গল্প দ্বারা তিনি গভীর জীবন দর্শনবোধ পাঠকদের মাঝে সঞ্চালন করতে চান, এবং সফলতার সাথে করেও এসেছেন। পাওলো কোয়েলহো এর বই সমগ্র-তে স্থান পাওয়া উপন্যাসগুলোর মাঝে ‘দ্য আলকেমিস্ট’, ‘ব্রিদা’, ‘দ্য ডেভিল এন্ড মিস প্রাইম’, ‘দ্য জহির’, ‘দ্য ভ্যালকাইরিস’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ‘দ্য মাডি রোড’, ‘দ্য রং গিফট’, ‘দ্য জায়ান্ট ট্রি’, ‘দ্য ফিশ হু সেভড মাই লাইফ’, ‘আই উড র্যাদার বি ইন হেল’, ‘রিবিল্ডিং দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর মতো ছোটগল্পগুলোতেও দর্শনের প্রমাণ মেলে, যা পাঠকদের গভীরভাবে ভাবতে শেখায়। পাওলো কোয়েলহোর আরেক পরিচয় তিনি গীতিকার। বেশ কিছু জনপ্রিয় ব্রাজিলীয় গানের জনক তিনি।