ভারতের উপকথা ভূমিকা বিশাল আমাদের এই মহান দেশ। বিচিত্র এদেশের প্রাকৃতিক সম্ভার। বৈচিত্র্যপূর্ণ আমাদের সভ্যতা ইতিহাস আর সংস্কৃতিক পরম্পরা। এ দেশের মাটিতে গল্পের জাল বোনা হয়। এদেশের নীল আকাশের বিস্তীর্ণ প্রেক্ষাপট লেখা হয় রূপকথার আন্তরিকতা। এদেশের বাতাস ফিসফিসিয়ে বলে রমাঞ্চ কর কাহিনী। বংশ পরম্পরায় এই সব গল্প প্রচারিত হয়। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে তার জনপ্রিয়তা। এইভাবেই আমাদের দেশে যুগে-যুগান্তরে লেখা হয়েছে অসংখ্য লোক কাহিনী আর উপকথা। সেখানে আছে অনেকের, আছে অলৌকিক শিহরণ, আর আছে সোনালি ছেলেবেলার মিষ্টি মধুর অভিজ্ঞতা। বিশাল এই গল্প সম্ভার পড়ে বাছাই করে ৯৪টি উপকথা তুলে দেওয়া হলো তোমাদের হাতে। এখানে যেমন ঝাড়খন্ডের অরণ্য-প্রকৃতির সন্ধান পাবে, তেমনই পাবে হিমাচল প্রদেশের পার্বত্য রোমাঞ্চে র স্বাদ। মণিপুর আর মিজোরামের নিম্নস্থ সংস্কৃতির সঙ্গে ঘটবে তোমার নিবিড় পরিচয়। প্রথম তামিলদেশে নীল সমুদ্র তোমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে— ডাকবে রাজপুতানার সাত মরুপ্রান্ত। শষ্য শ্যামলী বাংলাদেশের লোক কাহিনী তোমাকে অনভুত আবেগে আপ্লুত করবে। এভারেস্ট তুমি পেরিয়ে যাবে বিশাল ভারতীয় সাহিত্যের জগতে আর অবাক হয়ে ভাববে কী বিচিত্র এই দেশ! ভারতের উপকথা বইটি তুলে দেওয়া হল আমার এক কিশোর পাঠক শ্রীমান স্বরূপ দত্তের হাতে।