কুয়াশার রঙ (হার্ডকভার)

যে ডায়েরিটা আজ আমি আপনাদের কাছে এনে দিচ্ছি সেটা আমার কাছে রয়েছে গত তিন বছর ধরে। অনেকবার ডায়েরিটা আমি পড়েছি। অনেকবার এ কথা মনে হয়েছে, আমার কাছে ডায়েরিটা রাখা আর কোনমতেই সমীচীন হচ্ছে না- কিন্তু সাহারানপুরে মঞ্জুরা আর থাকে না, রূপসাডিহির বাড়ি তো আমার হাত দিয়েই বেচে দেওয়া হল, কাজেই ডায়েরির লেখিকা মঞ্জুর কাছে আর তার এই খাতাখানা পাঠানো সম্ভব হয়নি। অবশ্য আরো একটা কারণ ছিল।
এখন যদি মঞ্জুর কাছে মঞ্জুর খাতা আমি ফেরত দিতে চাই আমার লজ্জার থেকেও মঞ্জুর লজ্জা বেশি হবে। এ কথা তার বিশ্বাস করার কোন হেতুই নেই যে ডায়েরিখানা হাতে পেয়েও আমি পড়ে দেখিনি। একটা প্রশ্ন আপনারা করতে পারেন যে একটা পনের বছরের বাচ্চা মেয়ের ডায়েরি আমি পড়তে গেলাম কেন? সে কথার জবাব দিতে গেলে বলতে হয় কৌতূহল নামক বস্তুটা ভদ্রতার উল্টো পথের পথিক। কাজেই উচিত-অনুচিতের প্রশ্ন ডায়েরিটা হাতে পাওয়ার পর আমি জাগিয়ে রাখতে পারিনি। আমার সঙ্গে মঞ্জুর বাবা সিতাংশুবাব আর মঞ্জুর মা অশ্রুর সামান্য আতীীয়তার সম্পর্ক ছিল।