"ভ্রান্ত আক্বীদা বনাম সঠিক আক্বীদা" বইয়ের ভূমিকা: মুসলিম জীবন আক্বীদার উপর প্রতিষ্ঠিত। যার আকীদা সঠিক নয়, সে একেবারেই ব্যর্থ মানুষ। কারণ বিশুদ্ধ আক্বীদা মুমিন জীবনের মূল চাবিকাঠি ও মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ভিত্তি। সেই বিশ্বাসের আলােকেই মানুষ তার সকল কর্ম সম্পাদন করে থাকে। কিন্তু মুসলিমদের অধিকাংশই ভ্রান্ত আক্বীদা পােষণ করে থাকে। কেউ কুফরী আক্বীদা লালন করছে, কেউ শিরকী, কেউ বিদআতী। এভাবে মনের অজান্তেই তারা ঈমান ও আমল ধ্বংস করে দিচ্ছে। আক্বীদার ব্যাপারে তারা খুবই উদাসীন। তাদের কাছে আক্বীদার কোন গুরুত্বই নেই। কেউ রাজনীতির নামে শিরকী সংস্কৃতির পূজা করছে। যেমন শহীদ বেদী, স্মৃতি সৌধ, খাম্বা, প্রতিকৃতি, শহীদ মিনার, শিখা চিরন্তন, শিখা অনির্বাণ, পতাকা ও দিবসকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, ফুল দিয়ে ভক্তি প্রদর্শন করছে, দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করছে, কুর্নিশ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি শিরকী মতবাদের পূজা করে ইসলামকে অপমান করছে এবং আল্লাহ প্রদত্ত অভ্রান্ত দ্বীনের মর্যাদাকে পদদলিত করছে। উক্ত শিরকী স্তম্ভগুলােকে রাজনীতির মােড়কে মাথা নত করে নগ্নপদে সম্মান জানানাে হচ্ছে। এই জড়বস্তুগুলাে আজ বড়ই ভাগ্যবান। বিধর্মীদের মূর্তিপূজার চেয়েও এগুলাে অত্যধিক জঘন্য কর্ম। কারণ এগুলাের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই। কিন্তু তাদের দেবতার হাত, পা, চোখ, কান, মাথা আছে। অন্যদিকে কেউ ধর্মের নামে শিরকী আস্তানার ইবাদত করছে। কবর, খানকা, মাযার, দরগাহ, গাছ, পাথর, পুকুর, মাছ, কুমির, কচ্ছপ, কবুতর, পীর, ফকীর, বুযুর্গ প্রভৃতি মিথ্যা মাবুদের পূজা করছে। তারা মুখে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ উচ্চারণ করলেও প্রাণহীন দেহের মত ঈমানশূন্য ধড়ে পরিণত হয়েছে। তারা উক্ত পবিত্র বাক্যের সাথে চরম মুনাফেক্বী করছে। এরা মুসলিম নামের কলঙ্ক, বিশ্বাসঘাতক। এরা মক্কায় যায় আল্লাহর ইবাদত করতে, আর মন্দিরে যায় মা কালী-দুর্গার প্রশংসাগাথা বর্ণনা করতে।
মোজাফফর বিন মহসিন ১৯৮৫ সালের ১ জানুয়ারি রাজশাহী জেলার বাঘা থানার হেদাতিপাড়ার বাওশা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ২০০০ সালে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে দাখিল, ২০০৩ সালে আলিম ও ২০০৭ সালে ফাজিল পাস করেন। আরবি শিক্ষার পাশাপাশি তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে বি.এ (সম্মান) এবং ২০০৮ সালে এম.এ পাশ করেন। এছাড়াও তিনি আলাদিপুর সালাফিয়া মাদ্রাসা থেকে ২০০১ সালে দাওরা হাদিথ পাশ করেন। মুযাফফর বিন মুহসিন হাদিস শিক্ষক হিসেবে ‘আল-মারকাজুল ইসলামিয়াস সালাফি’তে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি পিস টিভির আলোচক, বাংলাদেশ আহলে হাদীছ যুবসংঘের সদ্য সাবেক সভাপতি, এবং হাফাবা দারুল ইফতার সদস্য। তিনি এ পর্যন্ত জাল হাদিস বর্জনের মূলনীতি, তারাবীহর রাকাত সংখ্যা, ঈদের তকদির, ভ্রান্ত আক্বীদা বনাম সঠিক আক্বীদা, ফাযায়েলে আমল, আমলে ছালেহ, প্রশ্নোত্তরে আরকানুল ইসলাম বই রচনা করেছেন।