“বাঙালি সমাজ ও সাহিত্যে সাম্প্রদায়িকতা এবং মৌলবাদ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ সমকালীন বিশ্বে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ এক ভয়ঙ্কর হিংস্ররূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ অভিধায় আখ্যায়িত এই প্রপঞ্চটি বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ধর্ম-সহিষ্ণুতার ঐতিহ্যকে পর্যন্ত ম্লান করে দিয়েছে। দেশের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক নূহ-উল-আলম লেনিন সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের উৎস সন্ধানে “বাঙালি সমাজে ও বাংলা সাহিত্যে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ : মূল প্রবণতা, পুনঃপাঠ ও পুনর্মূল্যায়ন” শীর্ষক একটি অভিসন্দর্ভ রচনা করেছেন। এ জন্য তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন। করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বাঙালি সমাজ ও সাহিত্যে সাম্প্রদায়িকতা এবং মৌলবাদ' নামে প্রকাশিত অভিসন্দর্ভে বিশ্বের প্রধান ৫টি ধর্মের উৎপত্তি, বিকাশ ও বিবর্তন এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ধর্মের নামে সংঘাতের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। উপমহাদেশে বিশেষ করে ঔপনিবেশিক যুগে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার ও তার রাজনৈতিক-সামাজিক ফলাফল, দেশভাগ, সর্বোপরি বাঙালি সমাজ ও সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাসে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের মূল প্রবণতাটি আবিষ্কারের চেষ্টা করা হয়েছে। এ গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে এবং সমকালে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের অভিপ্রকাশের স্বরূপ সন্ধানের পাশাপাশি বাঙালির অসাম্প্রদায়িক, ধর্ম-সহিষ্ণু, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিও আলােকপাত করা হয়েছে। আমাদের ধারণা এটিই সম্ভবত বাংলা সাহিত্যে এ জাতীয় সামগ্রিক ও নির্মোহ গবেষণালব্ধ মৌলিক কাজ।
জন্ম : ১৭ এপ্রিল, ১৯৪৭। বিক্রমপুরের রাণীগাঁও গ্রামে। সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী লেনিন লিখেছেন কম। সম্প্রতি নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও সাময়িকীতে। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘আগামীর অন্বেষা', 'ব্রাত্যজন কথা’, ‘স্বাধীনতা ও উত্তরকাল', ‘সর্বব্যাপী বঙ্গবন্ধু’, ‘সমুখে শান্তি পারাবার’, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড প্রতিবাদের প্রথম বছর’, ‘স্বাধীনতার সন্ধানে, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির স্বপ্ন', এবং মৌলবাদ জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা'। এছাড়া একটি কাব্যগ্রন্থ ‘স্বপ্ন করপুটে। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের ভেতর রয়েছে ‘তেভাগা সগ্রাম’, ‘একবিংশ শতকে অভিযাত্রা’, ‘জুম পাহাড়ে শান্তির ঝরনাধারা’, ‘আওয়ামী লীগের গৌরবের OG 769', 'Valle of Death', 'Fanatic Extremism in Bangladesh', তেভাগার কথা ও বাংলার কৃষক আন্দোলন এবং দুঃশাসনের চার বছর : সংকট ও উত্তরণের পথ’ প্রভৃতি। সমাজ-অর্থনীতি-সংস্কৃতি বিষয়ক একটি ত্রৈমাসিক মননশীল সাময়িকী ‘পথরেখা’ ও প্রকাশিত হচ্ছে তাঁরই সম্পাদনায়। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক লেনিন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং নেতৃস্থানীয় কমিউনিস্ট হিসেবে বামপন্থি। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক।