১.পার্টনার ইন এম্পায়ারঃ উদ্যোক্তা হিসেবে দ্বারকানাথ ঠাকুর অনেক ক্ষেত্রেই পথ রচয়িতা। ভারতে ব্যাংক, বীমা, রেলপথ, খনিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ তিনি ব্রিটিশদের সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন।। কিন্তু রাজনৈতিক ও সামাজিক লক্ষ্যপূরণ তার কাছে ব্যবসায়ের চেয়ে বড় ছিল। তিনি এমন এক ভারতের স্বপ্ন দেখতেন, যেখানে পাশ্চত্যের দেশগুলোর মত সব নাগরিকের সমানাধিকার থাকবে। ইংরেজ ও ভারতীয়দের মধ্যে ব্যবসায়, শিক্ষায়, আচারে, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে কোন বৈষম্য থাকবে না। পশ্চিমের মতই শিল্পায়িত হবে দেশের অর্থনীতি। স্বপ্নের ভারত বাস্তবায়নের প্রকল্পটি বনেদি এ বাঙালি নিজেই শুরু করেছিলেন। সতীদাহ থেকে স্টিম লঞ্চ পর্যন্ত প্রতীতি ও প্রগতির পক্ষের সবকিছুতে তিনি ব্রিটিশ ও ভারতীয়দের সহযোগীতা ও সংঘবদ্ধতার পর্তন করেছিলেন। আর্থসামাজিক- সাংস্কৃতিক সেই অংশীদারিত্বের গল্প " পার্টনার ইন এম্পায়ার" । ২. দ্য পাঠানসঃ পাঠানদের নিয়ে কৌতূহলের কমতি নেই বাংলাদেশেও। আফগান ও পাঠানের প্রভেদ নিয়েও প্রশ্নের শেষ নেই। গল্প- উপন্যাসে নানাভাবে পাঠানের কথা এসেছে। কিন্তু সরেজমিনে পাঠানের সুলুক সন্ধান হয়নি। কাজটি সহজও নয়। কারণ পাঠানদের প্রভাবে আশেপাশের পরিবেশ পালটে গেলেও পাঠানভূমে কোনো পরিবর্তনের ছোয়া লাগেনি। কখনো কোনো সাম্রাজ্য ও সভ্যতার বশ না হওয়া পাঠানরা আজো কাউকে কর দেয় না, কারো শাসন মানে না । পাঠান জনপদে সংবিধান বলতে গোত্রীয় বশ্যতাকে বোঝায়।