ফ্ল্যাপে লিখা কথা * পলাতক তুফান: জগদীশচন্দ্র বসু * সবুজ মানুষ: প্রেমেন্দ্র মিত্র, অদ্রীশ বর্ধন, দিলীপ রায়চৌধুরী, সত্যজিৎ রায় * সাউন্ড অফ থান্ডার : রে ব্যাডবেরি * দ্য ডিসকোভারি অব এ প্ল্যান্টে: ভ্লাডিমির শোরাবাকভ * দ্যা উইন্ডস অব চেঞ্জ: আইজ্যাক আজিমভ * কুদ্দুসের একদিন: হুমায়ূন আহমেদ * ঘৃণার সঙ্গে সববাস: মুহম্মদ জাফর ইকবাল * অদৃশ্য বস্তু: অদ্রশ বর্ধন * অদৃশ্য মানুষ: আলী ইমাম * নক্ষত্রলোকে প্রাণের সন্ধানে: স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় * মেঘ-সূর্য: আসজাদুল কিবরিয়া * শিম্পাঞ্জি ট্রাজেডি: আহসান হাবীব * অমর দ্বীপের কাহিনী: ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্রাচার্য * সবুজ কল্যাণ: অমিভাত রায় * তিন-চার-পাঁচ: সুব্রত হালদার * টেল অব দ্য কম্পিউটার দ্যাট কট এ ড্রাগন: স্ট্যানিসল লেম * ট্রাইসেরাটপস: কোনো টেনসি * অ্যান ইমাজিনারি জার্নি টু দ্য মুন: ভিকটর সাবাহ্ * ক্যানাল: কার্ল জ্যাকবি * সাম্য: কুয়া কুঙ ইয়ু * স্পেস স্টেশন ওয়ান: ম্যানলি ওয়েড ওয়েলম্যান * ব্যর্থ মিশন: মশিউর রহমান
ভূমিকা সারা পৃথিবীতে এখন প্রচুর সায়েন্স ফিকশন লেখা হচ্ছে। বিখ্যাত সব সায়েন্স ফিকশন লেখকও রয়েছেন। বাংলা ভাষাতেও সায়েন্স ফিকশন লেখা হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। তাই পাঠককে স্বাগতম সায়েন্স ফিকশন জগতে। ২২ জন লেখকের লেখা নিয়ে এই রোমাঞ্চকর জগতে পাঠককে স্বাগতম। যেখানে রয়েছে বিশ্বসেরা ক্লাসিক লেখকদের পাশাপাশি নবীন লেখকদের লেখা ও বিশ্ববিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন গল্পের অনুবাদ। এই সংকলনের গল্পগুলো চমকপ্রদ ও মনে রাখার মতো। গল্পগুলো শুধু নিছক কল্পকাহিনী নয়, গল্পগুলো অজানা প্রযুক্তির দুয়ার খুলে দেবে... ‘বিশ্বসেরা কিশোর সায়েন্স ফিকশন ‘সংকলনের লেখকদের কল্পনার জগত থেকে ঘুরে আসার জন্য অনুরোধ রইল। সায়েন্স ফিকশনের এই জগত আমাদের চিরচেনা জগত ভেঙে সায়েন্স ও ফিকশনের একটি নতুন জগত সৃষ্টির অপেক্ষায়.... হাসান খুরশীদ রুমী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা
পারিবারিক পড়াশুনার আবহই তাঁকে টেনে নিয়ে গেছে বই পড়ার দিকে। নানাকে দেখেছেন বই পড়তে, না হলে কিছু লিখতে যদিও সেগুলো কঠিন আইনের বই ‘তবুও দৃশ্যটা চােখে গেথে গিয়েছিল। অবশ্য আইনজ্ঞ নানার হাতে ভারতবর্ষের সংবিধানের বৃহদাংশ সংশোধিত জেনেও বিষয় হিসাবে আইন তাকে আকৃষ্ট করেনি। বই হাতে নিয়ে বুদ হয়ে গেলেন যে বিষয়-সেটা সায়েন্স ফিকসন। জন্ম-১৯৬৯ সালের ২ নভেম্বর । ছয় বছর বয়সেই মা হাতে তুলে দেন এখলাস উদ্দিন আহমেদের ফ্যান্টাসিয়া উপন্যাস 'নেংটি ইদুরের গল্প তার পরপরই সায়েন্স ফিকশন তুলে দেন আলেকজান্ডার বেলায়েভের উভচর। মানুষ'। বাল্যকাল কাটে ইঞ্জিনিয়ার বাবার চাকুরির সুবাদে সারাদেশ ঘুরে ঘুরে। ইন্টারমেডিয়েট পড়ার সময় রহস্য সাহিত্যিক কাজী আনােয়ার হােসেনর কাছে ধর্না দেন, তিনি পরামর্শ দেন পড়া লেখা শেষ করে লেখালেখিব লাইনে আসতে।" ১৯৯২ সালে প্রথম "সায়েন্স ফিকশন সংকলন ‘ওরা এসেছিল’। সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। প্রায় অর্ধশত সায়েন্স ফিকশন বইয়ের কাজ করেছেন তিনি। অথচ একেবারে আড়ালে ছিলেন। গত দুই যুগ ধরে। ছিলেন নিভৃতে, সেখানে থাকতেই ভালোবাসেন। বাংলাদেশের প্রথম সায়েন্স ফিকশন পত্রিকা মৌলিক-এর পিছনে মুল ইন্ধন তিনি যুগিয়ে ছিলেন, ছিলেন নির্বাহী সম্পাদক। শুধু সায়েন্স ফিকশন নয়, থ্রিলার, ওয়েস্টার্ন, হরর, মিথ ছাড়াও শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করেছেন অহরহ। সম্পূর্ণ উল্টো এক চরিত্র স্যাটায়ার পত্রিকা উম্মদের সাথে গত ১৫ বছর যুক্ত আছেন। উম্মাদ সম্পাদক আহসান হাবীবের হাত ধরে ভিজু্যুয়েল মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। দেশের প্রথম ষ্ট্রট" শো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান এবং প্রথম সম্পূর্ণ অ্যাকশন ধর্মী একটি নাটক তৈরি ছাড়াও বর্তমানে ডকুমেন্টারি তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। এত সব বিষয়ের বাইরেও সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিচয় আছে রুমীর। তিনি নিজে একজন কোলাজ প্রচ্ছদ শিল্পী। সেই ১৯৯২ সালে নিজের বইয়ের প্রচ্ছদ করার পর থেকে প্রায় শাচারেক কোলাজ প্রচ্ছদ করেছেন" এবং করছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিউ-এজ মিউজিক সিডি সংগ্রহ করেন এবং শোনেন। তার নিজের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি আছে। যার সংগ্রহে আছে প্রায় হাজার পাঁচেক বই। তার স্ত্রী সানজিদা আবেদীন, কন্যা সারাহ খুরশীদ এবং পুত্র ফাইয়াছ হাসান