সমস্ত প্রশংসা সেই মহান সত্তার জন্য, যিনি আমাদেরকে সৃষ্টিকলাে মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। জন্ম দিয়েছেন মুসলমান মা-ব রহমতের ফল্পধারা প্রবাহিত হােক নবীদের সর্দার মুহাম্মাদ সালালা ওয়াসাল্লামের ওপর। উম্মতের চিন্তায় যিনি ব্যাকুল থাকবেন রােজ কঠিন দিনে। ‘জান্নাত' শব্দটি রিমঝিম ধ্বনি তুলে মুসলমানের কানে। প্রত্যেক মুসলম ঈপ্সিত লক্ষ্য হলাে জান্নাত । শত খুনে যার হাত রাঙানাে, সেও আল্লাহর মত থেকে নিরাশ হয় না। জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন সেও লালন করে হৃদয়ের গহীন জাহান্নামের শাস্তির কথা শুনলে সে আঁতকে ওঠে। মাহফিলে গিয়ে বক্তার ম আল্লাহর রহমতের কথা শুনে তার অন্তরও আশান্বিত হয়ে ওঠে। পথ খোঁজাদ চেষ্টা করে কিভাবে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচা যায়। শাস্তি ভােগ করা ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করা যায়। আল্লাহ মানুষের চিরশত্রু হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন শয়তানকে। শয়তান। বিচরণ করে মানুষের ধমনীতে। প্রতি মুহূর্ত তার কসরত থাকে কিভাবে বনী আদমকে জান্নাতের পথ ভুলিয়ে জাহান্নামের পথে তুলে দেওয়া যায়। কিভাবে। আদম সন্তানকে চিরস্থায়ী জাহান্নামের বাসিন্দা বানানাে যায়। মানুষকে ফুসলিয়ে সে করে ফেলে পথভ্রান্ত। শয়তানের গােলকধাঁধায় পড়ে আমরা ভারী করতে থাকি নিজের গােনাহের খাতা। নিজের ঈপ্সিত লক্ষ্য ভুলে দৌড়াতে থাকি জাহান্নামের দিকে। ভুলে যাই আল্লাহকে। তাঁর রাসূলকে। আল্লাহ এবং রাসূলের বাতলানাে পথ ভুলে অন্ধের মতাে অনুসরণ করতে থাকি শয়তানের। এভাবে জান্নাতের বদলে বাসস্থান হিসেবে বেছে নিই জাহান্নামকে। আমরা গােনাহের অতলান্ত আঁধারে খেই হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের গােনাহের। সংখ্যা এত বেশি যে, আল্লাহ যদি আমাদেরকে নিজ দয়াগুণে ক্ষমা করে না। দেন, জাহান্নাম আমাদের জন্য অবধারিত। অথচ আমরা সবাই জান্নাতে যেতেই গােনাহের সাগর থেকে কিভাবে আমরা উঠে আসতে পারি? কিভাবে 'সতে পারি আল্লাহর ক্ষমা? কী করলে যেতে পারব আমাদের পরম কাঙ্ক্ষিত জান্নাতে? এ বিষয়ে চমৎকার একটি গ্রন্থ ‘জান্নাতে যাওয়ার হাজার পথ।