"কানাডা যাবেন কেন যাবেন" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ শান্তি আর মিশ্র সংস্কৃতির বিরল দেশ কানাডা। কানাডা বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় সেরা দেশ। ভ্যাঙ্কুভারকে বলা হয় ভূস্বর্গ। তা... See more
TK. 400 TK. 332 You Save TK. 68 (17%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
"কানাডা যাবেন কেন যাবেন" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ শান্তি আর মিশ্র সংস্কৃতির বিরল দেশ কানাডা। কানাডা বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় সেরা দেশ। ভ্যাঙ্কুভারকে বলা হয় ভূস্বর্গ। তারপরও এই ভূস্বর্গের অভ্যন্তরে রয়েছে ইমিগ্র্যান্টদের নারকীয় জীবনযাপন। বৈপরীত্যের তথ্যবহুল খণ্ডচিত্র প্রতিফলিত হয়েছে- কানাডা যাবেন কেন যাবেন গ্রন্থে। পাশাপাশি কানাডার ইতিহাস-ঐতিহ্য-শিক্ষাসংস্কৃতি, রাজনীতি-অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নান্দনিকভাবে বর্ণিত হয়েছে এই গবেষণাধর্মী গ্রন্থে। যা পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় পাঠক খুঁজে পাবেন অন্য এক বিস্ময়কর আনন্দবেদনায় দ্রবীভূত কানাডাকে।
‘প্রতিদিন কাটে তাঁর সৃষ্টির নকশিকাঁথায়’- তিনি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। জন্ম শেরপুরে ৩০ মে ১৯৫৮। সত্তরের দশকে দৈনিক ও সাপ্তাহিকপত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবনের সূত্রপাত। ১৯৮০-তে সরকারি চাকুরিতে যোগদান। ১৯৯৬ সালে বাধ্যতামূলক অবসর। অতঃপর পুরোদস্তুর লেখালেখিতে মনোনিবেশ। প্রবাসী বাঙালিদের জন্য নিউজ এজেন্সি ‘স্বরব্যঞ্জন’-এর কর্ণধার। প্রবাস থেকে প্রকাশিত বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পত্রিকার সাথে সংযুক্ত। জড়িত আছেন বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে।
কবি-সাংবাদিক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল প্রায় সাত বছর ধরে কানাডায় বসবাসরত। কানাডা যাবেন কেন যাবেন বইটির জন্য ওকে অনেকেই কানাডায় অভিবাসন-বিশেষজ্ঞ বলে মনে করেন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ হয়তো কোনো বাংলাদেশি তরুণ এসে ওকে থামিয়ে বলছেন, একটু কথা বলা যাবে? উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেও ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বলছে, জি বলেন। কথায় কথায় জানা যায়, ভাগ্যান্বেষী তরুণ টরন্টোয় এসেছেন কিছু করার আশায়। দুলাল অভিজ্ঞ উকিলের মতো জেরা করছে, কখন এসেছেন, কী ভিসায় এলেন, দেশে থাকতে কী করতেন, অন্য কোনো শহরে চেষ্টা করেছেন কি না ইত্যাদি। বিভ্রান্ত সেই তরুণ হয়তো শুনেছেন কানাডায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অঘোষিত উপদেষ্টা দুলালের কথা, কিংবা ওর বইটির নাম-অধ্যায়টা পড়েছেন। দুলালের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ, বিব্রতবোধে বিপন্ন, কারণ ভাগ্যান্বেষী এই যুবককে টরন্টোর বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বললে হয়তো ওকে ভুল বুঝবেন। আবার কানাডায় অভিবাসন কিংবা কাজের সুযোগ সম্পর্কে ভুল তথ্য দিতে অনিচ্ছুক দুলাল। কানাডার সোনার হরিণের পেছনে ছুটে দেশে সবকিছু ছেড়ে এখানে চলে আসার বিষয়ে মানুষকে নিবৃত্ত করতে চেয়ে বহু মানুষের ভুল-বোঝাবুঝির শিকার হতে হয়েছে ওকে। ভুল বোঝা মানুষের ধারণা, ও যেহেতু এত বছর ধরে রয়ে গেছে, এখানে নিশ্চয়ই কাজের অবাধ সুযোগ, অথচ নতুন আসা মানুষকে নিরস্ত করার চেষ্টা করছে ও। তাই আজকাল মানুষকে আর বাস্তব ধারণা দিতে আগ্রহী নয় ও, আবার মিথ্যে আশ্বাসও দেয় না, তাই কর্মপ্রত্যাশী সেই যুবককে একটা অস্পষ্ট গা ছাড়া জবাব দিয়ে কাজ সারে ও।