অনুবাদকের কথা মাওলানা আবুল কালাম আযাদ (রহ)-এর “ইনসানিয়াত মৌতকে দরওয়াযে পর”-এ মুসলিম মহামনীষীদের জীবন সায়াহ্নের অসাধারণ ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছিল। যার প্রতিটি ছত্রই ছিল এমন চিত্তাকর্ষক শব্দগাঁথুনির সাবলীল উপস্থাপনা হৃদয়কে যা কাঁদায়, ভাবায়, আলােড়িত করে। করে অনুরণিত। তবে তা ছিল পুরুষকেন্দ্রিক। যার পরিধি বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সমকালীন উলামায়ে কিরাম পর্যন্ত। এরপর আর কেউ এমনভাবে এগিয়ে যায়নি। এই দৃষ্টিকোণকে এগিয়ে নেয়নি। মাওলানা রূহুল্লাহ নকশবন্দী নারীকেন্দ্রিক আলােচনার ঘাটতিটুকু পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। এখানে তিনি নাম দিয়েছেন খাওয়াতীনে ইসলাম কে আখেরী লমহাত আমরা যার নাম দিয়েছি জীবন-সায়াহ্নে মুসলিম মহীয়সী নারী (মুসলিম নারীদের ঈর্ষণীয় মৃত্যুর কাহিনী)। এখানে আলােচিত হয়েছে আম্মাজান হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রা) থেকে সমকালের উম্মে আলী মিয়া এবং...পর্যন্ত । শুধু নারী মহলই নয়, আশা করা যায় পুরুষমহলও জীবন-মরণের খােরাক পাবেন এতে। অনুবাদের যতটুকু ভাল এর সবটুকুই আলােচিত মনীষীদের ফায় এবং আল্লাহর মেহেরবানী। যতটুকু অসুন্দর তার সবটুকুই অনুবাদকের দুর্বলতা আর অক্ষমতা। তবে তা থেকে একজন আল্লাহর বান্দা/বান্দীর যদি উপকার হয়, একজন মানুষও যদি তাকওয়া-পরহেযগারীর পথে উঠে আসেন, তবে এটাই হবে আমাদের সকলের সফলতা। আর আল্লাহ কবুল করলে এটুকুই হতে পারে নাজাতের ওসীলা । আল্লাহ আমাদের এ প্রয়াস কবুল করুন। হাসান মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ