ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশ নাকম যে সত্তাটি একটি সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের ভেতর জন্মলাভ করেছে, চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও তা আজ অবধি গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্বশীল চরিত্র ধারণ করে নি। একদিকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের অসম্পূর্ণতা, অন্যদিকে স্বাধীন ও সার্বভৌম অবস্থান বজায় রাখার নিদারুণ ব্যর্থতা রাষ্ট্রকে এমন স্তরে নামিয়ে এনেছে যে বিদ্যমান কাঠামোতে এখন এর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই প্রায় অসম্ভব হয়েছে পড়েছে।
জাতীয় বিভক্তি, সামাজিক বিভাজন, সাংস্কৃতিক অসিহষ্ণুতার উপাদানসমূহ একত্রিত হয়ে চলমান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থের ছকে এমন একটা বিপদজনক রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, যে খাদ থেকে উঠে না আসলে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে সব সম্ভাবনাই তিরোহিত হবে অচিরেই।
ফলে আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক পরাশক্তির বেধে দেয়া ছকে বাংলাদেশের রাজনীতিকে সেক্যুলার বনাম ইসলামের লড়াই আকারে যে বা যারাই সাজাতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্য, সাম্রাজ্যাবাদী পরিকল্পনা আর নিওলিবারেল বিশ্বব্যবস্থার অন্তর্গত চাহিদার আলোকে বর্তমানে ফ্যাসিবাদী ক্ষমতার উত্থানকে ফরহাদ মজহার চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে এই বিপদজনক বিভাজন এড়িয়ে জনগণের লড়াইকে সংগঠিত করার পথ এবং পদ্ধতিও তার অন্বিষ্ট।
জন্ম ১৯৪৭ সালে, নোয়াখালী। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা : ঔষধশাস্ত্র ও অর্থনীতি, প্রিয় স্মৃতি : মাইজদী কোর্ট, প্রিয় স্থান : বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা নয়াকৃষির বিদ্যগাঘর। তিনি একজন বাংলাদেশি কবি, কলামিস্ট, লেখক, ঔষধশাস্ত্রবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, বুদ্ধিজীবী, সামাজিক ও মানবাধিকার কর্মী এবং পরিবেশবাদী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে ওষুধশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের দি নিউ স্কুল ফর সোশাল রিসার্চ থেকে অর্থশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সামাজিক অর্থনীতিতেও গবেষণা করেছেন। চিন্তা নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক মজহার উবিনীগ এনজিও গঠন করে নয়াকৃষি আন্দোলনও শুরু করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ হল: প্রস্তাব, মোকাবিলা, এবাদতনামা ও মার্কস পাঠের ভূমিকা।