আমাদের পরিবারের সবার জীবনকে সুস্থতা এবং সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই সব প্রচেষ্টা। পরিবারের সবার দীর্ঘ,নীরোগ, শান্তিময় এবং সফল জীবন আমাদের একান্ত কাম্য। কিন্তু বর্তমানে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের বলে দিয়েছেন কী করে ভালোভাবে বাঁচতে হবে। কিন্তু অনেক সময় তা না জেনে, কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে, মানবসৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে কিংবা অবহেলার কারণেই প্রতিনিয়ত আমাদের জীবন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। আপনি জানেন, আপনার পরিবার কত মূণ্যবান আপনার কাছে! পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে পুরো পৃথিবীই বদলে যায়।কিছুই আর তখন ভালো লাগে না। এতে আপনি হতাশ হবেন না। কাযকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখা সম্ভব। আপনার সন্তানের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধনের জন্য শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও একান্ত আবশ্যক। এজন্য আপনাকে জানতে হবে কীভাবে, কতটা এদের ভালো রাখা যায়। জানতে হবে, কীভাবে সার্বিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপনি ও আপনার সন্তান সবকিছুতে এগিয়ে থাকবেন,কীভাবে রোগ প্রতিরোধ করে মূল্যবান জীবন, সময় এবং অর্থ বাঁচাবেন। এই বইটি পড়ে আপনি প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে পারেন। এটুকু বলতে পারি স্বাস্থ্যগত তো অবশ্যই, সার্বিকভাবে আপনার এবং আপনার আপনাকে সুখী করে তুলবে। পৃথিবীর ২১ টি দেশে ভ্রমণ করে স্বাস্থ্য এবং পরিবার ব্যবস্থাপনার উপর লব্ধ অভিজ্ঞতা এবং ঢাকা ও লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞানের আলোকে এই বইটি লিখা। বিভিন্ন বিদেশি কজার্নাল,পুস্তক,ইন্টারনেট এবং আমাদের দেশের ক’জনের লেখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমার এই বই লিখতে সহায়ক হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, জীবনের সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আপনার সন্তান এগিয়ে যাবে এবং একটি সঠিক, সার্বিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে খুঁজে পাবে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেশে-বিদেশে।
আ.স.ম ওয়াহিদুজ্জামান, ১৯৬৪ সনের ২ জানুয়ারি জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৯ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সনে আই এফ আই সি ব্যাংকে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৪ সনে সিনিয়র অফিসার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯৫ সনে বিসিএস(কর) ক্যাডারে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। চাকুরিজীবনের শুরু থেকেই তিনি অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার সাথে দাযিত্ব পালন করেন। আ.স.ম. ওয়াহিদুজ্জামান ২০১১ সনের নভেম্বর-এ বাংলাদেশ দূতাবাস, তাসখন্দে প্রেষণে প্রথম সচিব হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে তিনি কাউন্সেলর হিসেবে তিন বছর এবং চার্জ দ্য এ্যাফেযার্স হিসেবে ছ’মাস অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, তিনি সমবর্তী দায়িত্ব হিসেবে আফগানিস্তান, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র এবং কাজাখস্তানেও উক্ত ছ’মাস আংলাদেশের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স-এর দায়িত্বে ছিলেন। আ.স.ম. ওয়াহিদুজ্জামান ২০১১ তে এম.বিএ ডিগ্রি লাভ করেন,যার মূল বিষয় ছিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা। ২০১২ এবং ২০১৩ তে লন্ডন এর ওয়েস্টমিন্স্টার ইউনিভার্সিটি (তাসখন্দ ক্যাম্পাস) থেকে একই বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করেন। ২০১৫ সনের জুলাই মাসে তিনি বাংলাদেশ দূতাবাস, তাসখন্দ মিশন শেষ করে দেশে ফিরে আসেন এবং সফলতার সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রলালয়ে কাজ করে তাঁর পূর্বতন কর বিভাগে ফিরে আসেন। ২০১৫ সনের অক্টোবর মাসে তিনি যুগ্ম কর কমিশনার হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে তিনি ডিসেম্বর ২০১৫-এ অতিরিক্ত কর কমিশনার( চলতি দায়িত্ব) হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন এবং জানুয়ারি ২০১৬ তে বিসিএস(কর) একাডেমিতে পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। কর্মজীবনে আ.স.ম. ওয়াহিদুজ্জামান জার্মানি,দক্ষিণ কোরিয়া,ব্রুনেই দারুস সালাম,মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়, সিঙ্গাপুর,সৌদি আরব, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ভারত, উজবেকিস্তান, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, কাজাখস্তান, আবুধাবি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র,তুরস্ক, ইটালি এবং ঘানায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। উক্ত দেশসমূহ সফরকালে তিনি সে দেশের স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং হাসপাতালসমূহের উপর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি বিবাহিত এবং এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক।