"বিশ্বের সেরা রহস্য উপন্যাস : ১৮ দ্য পয়জন চকলেট কেস" বইটি সম্পর্কে কিছু কথাঃ আমাদের দেশের একটি হত্যাকাণ্ডের হত্যারহস্য উদ্বাটনে সাধারণত আইন প্রয়ােগকারী সংস্থা বিশেষ করে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত, সুরহাল রিপাের্ট, ডাক্তারি রিপাের্টের ব্যবস্থা করেন। হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার গ্রহণ করে ঘটনাস্থলের জব্দতালিকা, খসড়া মানচিত্র, সূচিপত্র অংকন করেন। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬১ ধারার বিধান অনুযায়ী সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। প্রয়ােজনে বিশেষ পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন। মােদ্দাকথা, পুলিশকেই সকল দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর অন্য কেউ নন। কিন্তু উন্নত বিশ্বে পুলিশের এই কার্যক্রমের সঙ্গী হতে পারেন পত্র-পত্রিকার অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক, টেলিভিশন রিপাের্টার থেকে শুরু করে প্রাইভেট গােয়েন্দা সংস্থা পর্যন্ত। এরকমই একটি ঘটনার অবতারণা করেছেন ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ই. সি. বেন্টলে তাঁর বিশ্বব্যাপী সাড়াজাগানাে রহস্য উপন্যাস ‘ট্রেন্টস লাস্ট কেস'-এ। এখানে ট্রেন্ট ইংল্যান্ডের বহুল প্রচারিত সান্ধ্য দৈনিক দ্য সান’ পত্রিকার তুখােড় সাংবাদিক ও আটিস্ট। তিনি বিখ্যাত ব্যবসায়ী ও ধনকুবের সিবি ম্যান্ডারসনের কথিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি তিনি এই কথিত হত্যামামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের অপরাধ দপ্তরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গােয়েন্দা ইন্সপেক্টর মার্চকে তদন্তের কাজে সহয়তা করেন। তারপরও কথা থেকে যায়, ঔপন্যাসিক ই. সি. বেন্টলে তাঁর গ্রন্থের নাম রেখেছেন ‘ট্রেন্টস লাস্ট কেস'। অর্থাৎ ট্রেন্টের শেষ মামলা। কিন্তু কেন? তাহলে কী সাংবাদিক ট্রেন্ট এই কথিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়েছেন? আসলে কী এটা হত্যা না কী আত্মহত্যা? এর সবকিছুরই উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে ‘ট্রেন্টস লাস্ট কেস’এ। টানটান উত্তেজনা আর দুর্দান্ত থ্রিলে ভরা বিশ্বের অন্যতম সেরা রহস্য উপন্যাস ‘ট্রেন্টস লাস্ট কেস’ পাঠক মুগ্ধচিত্তে গ্রহণ করতে বাধ্য।
Title
বিশ্বের সেরা রহস্য উপন্যাস : ১৮ দ্য পয়জন চকলেট কেস