“ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ নগর ঢাকার দীর্ঘ ৪০০ বছরের ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে উত্তরণ, উন্নয়ন ও পতনের মধ্য দিয়ে বিকাশ ঘটেছে। সকল উত্থান-পতনের মাঝেও স্থানীয় অধিবাসীরা তাদের খাদ্য সংস্কৃতির ধারাবাহিক অভ্যাস বনেদি খাবারগুলাের চর্চা ঠিকই কালের ধারায় চলমান রেখেছে। ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি' গ্রন্থটি রচনা করা হয়েছে। তার খাদ্য অভ্যাসে যুক্ত হওয়া খাবারের তালিকা, উৎস, স্বাতন্ত্রতা সৃষ্টি, কীভাবে ঢাকাই খাবার। হিসেবে পরিচিতি পেল তার বর্ণনা এখানে পাওয়া যাবে। ঐতিহ্যের অংশ অনেক খাবার এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের উত্তরণে হারিয়ে গেছে, কিছু বিলুপ্ত প্রায়। আবার অনেক খাবার বিবর্তিত রূপে যুক্ত হয়েছে তার খাদ্য তালিকায়। এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় ভারতীয় উপমহাদেশের সব শহর থেকে ঢাকার বিশেষ খ্যাতিমান খাবার তালিকা অন্য শহর থেকে দীর্ঘ। যা এক বা দুইয়ে সীমাবদ্ধ নয়। এজন্যই বলা হয় ঢাকার খাদ্যবিলাস, তার রন্ধন প্রক্রিয়ায় নিজস্বতা খাবারগুলােকে বৈচিত্রতাই দান করেনি; করেছে। সার্বজনীন অনুকরণীয়। ঢাকার সৃষ্ট এবং বিখ্যাত সুতি কাবাব, পনির আর বাকরখানি। গ্রন্থটিতে মােগল ও নবাবি খাদ্যবিলাস থেকে শুরু করে ঢাকাই খাবারের তালিকা, উৎসবের খাবার, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের খাদ্য অভ্যাস, পরিবেশন রীতি, ৪০ দশক পরবর্তী ঢাকার জনপ্রিয় হােটেল, রেস্তোরাগুলাের ইতিহাস এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। গবেষণাধর্মী এই গ্রন্থে ঢাকার আদিবাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা, স্মৃতি যাচাইপূর্বক সুনিদিষ্ট তথ্যগুলােই উপস্থাপিত হয়েছে।