বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে প্রথম এক সুতোয় গেঁথেছিল। নিজের হাজার বছরের ঋদ্ধ সংস্কৃতিকে বাঙালি বড় আপন করে জেনেছিল নতুন করে, বায়ান্ন সালে। এ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনই সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর, এই পথ ধরেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়। আর এই আন্দোলনে জীবনের নির্যাস ঢেলে দিয়েছিলেন মহান কুশীলবরা, অর্থাৎ- ভাষাসৈনিকরা। ভাষাসৈনিকদের অনেকেই আলোচনায় এসেছেন, অনেককেই আমরা জেনেছি। কিন্তু এই আন্দোলনে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তার কতটুকুইবা জানি আমরা? সেই অনগ্রসর সমাজের অন্ধকার ঘেরাটোপ পেরিয়ে নারীরা ভাষাবীরদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। সাহসী আর দৃঢ়প্রত্যয়ী মনোভাব নিয়ে বিশাল অবদান রেখেছিলেন তাঁরা প্রতিরোধ ও আন্দোলনের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলোতে। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে তাঁরা যেন অনেকটা অবহেলিত, অনালোচিত হয়ে আছেন। নতুন প্রজন্ম সেই বীর নারীদের জানতে পারবে এই বই পড়ে। অসংখ্য নারী ভাষাসৈনিকের মধ্যে সবাইকে তুলে আনা এক দুরূহ কাজ। অনেক ভাষাকন্যা এখনো অন্তরালেই রয়ে গেছেন, হারিয়ে গেছেন অনেকে। বায়ান্নর ৫২ নারী বইটিতে ৫২ জন নারী ভাষাসৈনিকের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ভাষা আন্দোলনের গান, কবিতাসহ আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও রয়েছে এতে।
জন্ম বরিশাল ১৯৮০। ব্রজমোহন কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক সম্মান (২০০২) ও স্নাতকোত্তর (২০০৪) ডিগ্রি লাভ। ২০০৪ সালে ইউরেকো এঞ্জেল স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান ঘোষক। ছেলেবেলা থেকে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের সদস্য। ১৯৯৫ সালে মনোরমা মানিসা শিক্ষাবৃত্তি লাভ।