“সুফিতত্ত্ব" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ খুব ভােরে কৃষকরা জমিতে ধানের চারা। নিড়ানি দিতে গিয়ে দেখলাে, খেতের পাশের বনে একটি গাছের নিচে শুভ্র শ্মশ্রুমণ্ডিত একজন বসে আছেন। তাঁর চোখদুটি আধবোজা। গায়ে পােশাক। তিনি কারাে কাছে ভক্তি নিতে চাচ্ছেন এমন নয়, কিন্তু তার চেহারায় বলে দিচ্ছে তিনি ভক্তি-শ্রদ্ধা। পাবার একমাত্র হকদার। হাতে তসবিদানা। নিয়ে একমনে কী যেনাে জপে যাচ্ছেন; পাশে তার একটা ঘটি, লাঠি ও সঙ্গে একেবারে প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রের চামড়ার বোচকা। দূরে তাজা ঘাসে মুখ রাখা একটা। গাধা। হয়তাে সেটি তার একমাত্র বাহন। গেঁয়ােলােকেরা নতুন কিছু দেখার জন্যে তার পাশে ভিড় করে! কিন্তু অচেনা এ আগন্তুকের মাঝে কোনাে ভাবান্তর নেই; তিনি আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন, কার সাধ্যি তাকে সে ধ্যান থেকে ফিরিয়ে আনে? অনেক পর তিনি আল্লাহর । ধ্যান থেকে স্বাভাবিক হয়ে তাদের কৌতূহল দূর করেন। পরিচয় পেয়ে তাঁকে সাদরে। গ্রহণ করে ধর্মপ্রাণ গ্রামবাসী। তিনি একজন সুফি । দুনিয়াতে এমন হাজারাে সুফি ছিলেন, যারা দীনের জাহেরিএলেমের সাথে লুকানাে। এলেমেও পরিণত ছিলেন। যাঁরা বিবেক দিয়ে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতেন, রিপুর। তাড়না থেকে বাচার জন্য প্রভুকে আঁকড়ে । ধরতেন। যাদের দৃষ্টিতে সােনা ও মাটি এক সমান। তারাই সুফি । একজন মানুষ দুনিয়া। ও আখেরাতে তখনি সফলতা পাবে যখন সে দীনের মাসয়ালা-মাসায়েলের এলেমের সাথে। সুফিতত্ত্বের জ্ঞান রাখবে। কেউ কেউ তাসাওউফকে মানে না, করে প্রশ্ন! তাদের সেসব দু’শােরও প্রশ্নের উত্তর নিয়ে। লিখেছেন, দুনিয়াব্যাপী আলােড়ন তােলা তুখােড় বাগ্মী পির মাওলানা জুলফিকার। আহমদ নকশাবন্দি ‘তাসাওউফ ও সুলুক’ বইটি। সুফিতত্ত্ব’ নামে এখন সেটাই আপনার হাতে! প্রিয়পাঠক! গাঢ়ো বিশ্বাস নিয়ে বলছি, গাঁটের পয়সা খরচ করে বইটি কিনলে ঠকবেন না।