"যৌবনের মৌবনে" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ জীবন-যৌবন আল্লাহতায়ালার অসামান্য উপহার। আল্লাহর সাথে বান্দার কতােটুকু ভালােবাসা ও ভয় রয়েছে, তার প্রমাণ নেন সবাইকে। অমূল্যরতন যৌবন দিয়ে। যৌবন এমন এক পাগলা ঘােড়া, যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে আল্লাহ মানুষকে দুটো সুযােগ দিয়েছেন। এক, যে তার যৌবনকে আল্লাহর দেয়া নিয়ম মেনে চালাবে, সে দুনিয়াতে পাবে অনেক সম্মান। আর পরকালে শান্তি অফুরান জান্নাত। দুই, যে যৌবনকে পশুর মতাে চালাবে, সে পাবে পৃথিবীতে লাঞ্ছনা আর পরকালে জাহান্নাম। কিন্তু আমরা তথাকথিত মুক্তচিন্তার তল্পিবাহক হয়ে এমন এক অন্ধকারযুগ পার করছি, যেখানে মানুষ দ্বিতীয় সুযােগটাকেই নিয়েছে অবলীলায়। প্রবৃত্তির চাহিদা মেটানােকেই জীবনের পরম পাওয়া মনে করছে। আর তাই জৈবিক চাওয়া মেটাতে গিয়ে ইমানের অর্ধেক ‘লজ্জা ও শালীনতাবােধটাকে মাটি চাপা দিচ্ছে। নগ্নতা ও অশীলতার ঝড়ে হায়া-লজ্জা আজ লণ্ড-ভণ্ড। তছনছ। এ তুফান আজ পুরাে মুসলিমবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে- ফিল্ম-নাটক, ইন্টারনেট, গেমস, ও পরিবার-পরিকল্পনা’র হাত ধরে। প্রযুক্তিতে ভর করে। মুসলমানদের ঘরে-ঘরে পৌছে যাচ্ছে। দিচ্ছে নির্লজ্জতা ও চরিত্রহীনতার সবক। সময়ের এসব অনাচারের বিরুদ্ধে খড়গ শক্ত কলম ধরেছেন যুগসচেতন বাগ্মী, উম্মাহর একদরদী রাহবার পির মাওলানা জুলফিকার আহমাদ নকশাবন্দি। গােটা দুনিয়া চষে বেড়ানাে এই প্রাজ্ঞ লেখকের রচনা ‘হায়া আওর পাকদামানি' বইটি ‘যৌবনের মৌবন’ হয়ে এখন আপনার হাতে। বইটি আপনার চোখ খুলে দেবে আরেকটু। পাঠক! পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন। একবর্ণও বাড়িয়ে বলিনি।