"প্রেমিক!" বইটি সম্পর্কে কিছু কথা: ‘প্রেমিক!’ উপন্যাসটি মূলত একটি মেয়ের শৈশব থেকে শুরু করে পূর্ণ যুবতী হয়ে ওঠার গল্প । উপন্যাসের মূল চরিত্র প্রজ্ঞা। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে এই উপন্যাসটি। স্বাধীনচেতা তরুণী প্রজ্ঞা, যার নিজের একটা জগৎ আছে।। সেই জগতের একটা বড় অংশ দখল করে আছে প্রেম, মূল্যবােধ ও মানবিকতা। জীবনের শুরুতেই পারিবারিক ও সামাজিক বৈষম্য আর বৈষম্যের স্বরূপ সম্পর্কে ধারণা হয় তার। ক্লাস সিক্সে থাকতেই সচেতনভাবে প্রেমে পড়ে মেয়েটি। নিগৃহীত হয়। প্রেম সম্পর্কে প্রথমবারের মতাে তার ধারণা বদলে যায়। সেই সাথে বয়ঃসন্ধিকালে যৌন নিপীড়ন, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, মানসিক দ্বন্দ্ব, মানসিকতার পরিবর্তন প্রভৃতির সম্মুখীন হয় সে। এরই মাঝে জীবনে দ্বিতীয়বারের মতাে প্রেমে পড়ে সে। কিন্তু নানা প্রতিকূলতা, প্রতারণা, নিজের ব্যক্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধে এই প্রেমটিও টেকে না। পারিপার্শ্বিকতা, সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য আর অবস্থানের কল্যাণে প্রজ্ঞার কাছে প্রেমের সংজ্ঞা বদলে যায় ।। এক পর্যায়ে এসে সমকামিতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া, সমকামী প্রেম, নতুন প্রেমিক, কর্মস্থল, যৌনতা, সমাজে মেয়েদের অবস্থান, বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের মেয়েদের জীবনপ্রভৃতি প্রাধান্য পেয়েছে এই উপন্যাসে। নানাভাবে ঢাকা ও রাজশাহী শহরের পটভূমি যেমন এসেছে, তেমনি দেশবিদেশের পটভূমিও এসেছে। নারী জীবনের নানা বাধাবিপত্তি, বিভিন্ন দেশে নারীদের অবস্থান, মানবিক স্বীকৃতি ও সামগ্রিকভাবে মানবিকতার কথা উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। মূলত প্রজ্ঞা নামের মেয়েটিরই জীবনে বারবার হোঁচট খাওয়া উঠে দাঁড়ানাের ও ঘুরে দাঁড়ানাের গল্প এটি। প্রেম, বিরহ ও বিদ্রোহ- এই উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য। সমগ্র উপন্যাস জুড়ে একটি প্রশ্ন জেগে থাকে- সত্যিই কি শেষ পর্যন্ত সত্যিকার প্রেমিকের দেখা কি পাবে প্রজ্ঞা?। -সত্যিই কি প্রেমিকের দেখা আদৌ পেয়েছিল প্রজ্ঞা? জানতে হলে পড়ন বাঁকে বাঁকে উত্তেজনায় ভরা এই বইটি।