"মুক্ত আবরণে" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: হঠাৎ একদিন পুলিশ জানাল, প্রতিমা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনার আবার তদন্ত হবে। পুলিশ কি। সন্দেহ করছে, এটা আসলে একটা হত্যাকাণ্ড ছিল? স্বামী অমরনাথ আবার বিয়ে করেছেন। ছেলেমেয়ের থেকে আলাদা হননি, কিন্তু বাড়ি বদলে তৈরি করেছেন দূরত্ব। ছেলে অঙ্কুর মন দিয়ে চাকরি করেও খানিকটা এলােমেলাে, খানিকটা উদাসীন। বয়সে বড় আশাবরীর কাছে ছুটে যায় বারবার। সে নিজেও জানে না এটাই কি প্রেম? কলেজ-পড়ুয়া মেয়ে দিব্যাঙ্গনার ভিতরে বাস করে আর-একটা দিব্যাঙ্গনা। শান্ত দিব্যাঙ্গনাকে সে ক্রমাগত প্রশ্ন করে। কলেজের এক অধ্যাপককে ভালবাসে দিব্যাঙ্গনা, যে ভালবাসা গােপন এবং একতরফা। দিব্যাঙ্গনার চঞ্চল বান্ধবী তিয়াশা মুখােশ পরা এই সমাজকে ঘেন্না করে এবং বিশ্বাস করে মুক্তি বা স্বাধীনতা বাস করে নিজের খুশিমতাে বেঁচে থাকার মধ্যেই। ‘মুক্ত আবরণে’ উপন্যাসে প্রতিমা চৌধুরীর মৃত্যুরহস্য নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন ইনস্পেক্টর বি সাহা। তদন্ত প্রক্রিয়া কখনও হালকা, কখনও আবার কঠিন। এদিকে অফিসের মালিক দিবাকর অঙ্কুরকে নিজের উন্মাদ মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে চান। তৈরি হয় নতুন জটিলতা। ধাপে ধাপে এই কাহিনি মুক্ত করতে থাকে সব আবরণ। জীবন আর রহস্য হাত ধরে চলে।
প্রচেত গুপ্ত (১৪ অক্টোবর ১৯৬২) একজন বাঙালি সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। তাঁর জন্ম কোলকাতার বাঙ্গুর অ্যাভিনিউতে একটি বৈদ্য পরিবারে। তিনি বাঙ্গুর বয়েজ স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি আরম্ভ করেন। মাত্র বারো বছর বয়েসে তাঁর প্রথম গল্প আনন্দমেলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে পরিচালক তরুণ মজুমদার তাঁর 'চাঁদের বাড়ি' উপন্যাসটি অবলম্বনে একটি বাঙলা চলচ্চিত্র তৈরি করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর 'চোরের বউ' গল্পটি অবলম্বনে পরিচালক শেখর দাস 'নেকলেস' নামের একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেন। তিনি সমকালীন বাংলা সাহিত্যের একটি পরিচিত নাম। তাঁর কিছু গল্প হিন্দি, ওড়িয়া এবং মারাঠি ভাষাতে অনূদিত হয়েছে। তিনি বাংলা পত্রিকা যেমন 'উনিশ কুড়ি', 'সানন্দা' এবং 'দেশ'-এর নিয়মিত লেখক।