“মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল নির্যাতন ও গণহত্যা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসের মধ্যেই বরিশাল জেলার সব মহকুমা ও থানা পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। প্রতিটি মহকুমা সদর ছাড়াও কোথাও কোথাও থানা সদরেও পাকিস্তানি বাহিনীর ইউনিট চলে যায়। কেন্দ্রীয় নির্দেশনানুযায়ী ঐসব ইউনিট শান্তিকমিটি ও তাদের সহযােগী বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করে। পাকিস্তানি পক্ষ অবলম্বনকারীরা ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের চরম মানসিক যন্ত্রণায় নিক্ষিপ্ত করেছিল। জীবন বাঁচানাের তাগিদে সাময়িকভাবে অনেক হিন্দু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। অনেক বিবাহিত রমণী হাতের শাখা ভেঙে ফেলে। পুরুষেরা দাড়ি রাখে, টুপি পরে, অনেকে পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়তেও শিখেছিল। অনেকে ধমান্তরিত হয়েও রেহাই পায়নি। পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এ দেশীয় দোসরবাহিনী আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ছাড়াও নিরীহ জনগােষ্ঠীকে হত্যা শুরু করে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযােগ, লুটতরাজ, পুরুষ সদস্যদের হত্যা ও নারী সদস্যদের শারীরিক নির্যাতন করে মাতৃজাতির চরম অবমাননা করেছিল।