"শেষ আঘাত (১ম খণ্ড)" বইয়ের পিছনের লেখা: ১. উর্ধ্বশ্বাসে ধাবমান দুই অশ্বারােহী। অগ্নিঝরা মরুর ধূসর বালিয়াড়ি পেরিয়ে এসে এই দুই অশ্বারােহীর মেজাযও আগুন- তপ্ত। দুজনের মুখ নেকাবৃত। কিন্তু ভােলা চার জোড়া চোখ। কালের অনেক উত্থান পতনের গভীর অভিব্যক্তি ফুটে আছে দুজনের চোখেই। অর্থাৎ তারা পরস্পরের কঠিন প্রতিপক্ষ। দুজনের স্পাতকঠিন হাতে বিদুৎ খেলে গেলাে। পলকে বেরিয়ে এলাে উদ্যত তলােয়ার। অথচ তারা কিংবদন্তীর আলােকময় দিগন্তের দুই সাহসওয়ার। ........ ইসলামের প্রতিরােধ্য দুই সিপাহসালার.. ২. কায়সারে রােম শাহে হেরাক্লিয়াসের দরবার। শাহজাদী শারীনা গাঢ় চোখে তাকিয়ে রইলাে বন্দী হাদীদের দিকে। অনাগত ভবিষৎতের এক স্বপ্ন-বীজ শারীনার মনমুকুরে বুনে দিলাে সত্য সজীব চেতনার আধার হয়ে। শারীনা কি পারবে মৃত্যুপুরী থেকে হাদীদকে উদ্ধার করতে?......... । ৩. প্রজার মেয়ে রুজীর জন্য শাহজাদা ইউকেলিস কেন এত উতলা? ওদিকে মুজাহিদরা রােমীয়দের আগ্রাসী থাবায় পর্যদুস্ত। আরেক দিকে ইউকেলিস আর দুর্ধর্ষ রােমীয় জেনারেল ইনথিউনিস মিলে বিশাল এক সেনাদল নিয়ে গুটি কয়েক মুজাহিদকে ঘুরে ধরেছে। সামান্য প্রতিরােধের আগেই ওরা শাহদাত বরণ করে দিবে? হেরাক্লিয়াস এখন আহত সিংহের মতাে মরন থাবা হানতে যাচ্ছেন। এ তার চূড়ান্ত ও শেষ আঘাত। লক্ষ লক্ষ ফৌজ সমবেত করেছেন। পুরাে মিসর জুড়ে। অথচ সিপাহসালার আমর উবনে আস (রাঃ) হাতে গােনা কয়েকজনকে নিয়ে ঢুকতে যাচ্ছেন শত্ৰুপুরীতে। একি আত্নহত্যা নয়?