বৃষ্টিময়ী, এই বৃষ্টিময়ী। বলাে। তুমি তােমার প্রিয় নীল রঙের শাড়ি পরে আসবে। কপালে পরবে নীল টিপ। হাতে পরবে নীল রঙের চুড়ি। আকাশ ভরে থাকবে নীল রঙে। তারপর ময়ূরাক্ষী নদীর তীর ধরে হাঁটব দুজনে। আর? তােমার নীল টিপ তুলে নেব আমি। কানের দুল খুলে নেব। তােমার কপালে পরিয়ে দেব ঘাসফুলের টিপ। তােমার কানে পরিয়ে দেবাে মাটির দুল। তারপর কি করবে কবি? তােমাকে ছোব। সুখ দিয়ে ছোঁব । আর? ময়ুরাক্ষীর তীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে সন্ধ্যা নামবে। দুজনে সন্ধ্যাতারা দেখব। এরপর রাত নামবে। জোছনা আলাে ছড়াবে। জোছনা দেখব দুজনে। হয়ত বা জোছনার বৃষ্টিতেও ভিজব। জোছনার ফুল স্পর্শ করব। তারপর? কি করবে কবি? জোছনা চুম্বন করব। আর? কদমফুলের ঘ্রাণ নেব তুমুল বৃষ্টি যদি শুরু হয়, সেই বৃষ্টিতে ভিজব। ভিজে ভিজে ভালােবাসার গল্প করব। তুমি এসাে বৃষ্টিময়ী। আমার নিমন্ত্রণ নাও। বৃষ্টিতে ভেজার নিমন্ত্রণ নাও। আর? আর কি করবে কবি? ভালােবাসব। তুমিও ভালােবাসবে। আমি বড়াে ভালােবাসার কাঙাল। ভালােবাসতে বাসতে একটা জীবন পার করে দেবাে। আমাকে পাবে না কবি। আমি অনেক দূরে চলে যাব। মেঘের মতাে ভেসে ভেসে চলে যাব বহুদূরে। তুমি বৃষ্টিময়ী, একজন কবি ও একজন বৃষ্টিময়ীর ভালােবাসার উপাখ্যান, সম্পর্কের উপাখ্যান অসাধারণ একটি প্রেমের উপন্যাস। এই উপন্যাস যিনি পড়বেন, বৃষ্টিময়ীর জন্য চোখের জল ফেলবেন, কবির জন্য অশ্রু ঝরাবেন। এই উপন্যাসে উঠে এসেছে বৃষ্টির প্রতি তীব্র ভালােবাসার কথা, জোছনার প্রতি প্রচণ্ড টানের কথা, কদমফুলের প্রতি অন্যরকম এক মায়ার কথা।