নাইটিংগেল গীতি ব্যথাতুর আমার চিত্ত, তন্দ্রাচ্ছন্ন অসাড় যাতনায় আমার অনুভূতি হেমলকের পেয়ালায় যেন মগ্ন ছিল আমার ঠোঁট দুটি, নতুবা কিছু নিস্তেজ আফিম পাত্র উজাড় করে করেছি পান ... See more
নাইটিংগেল গীতি ব্যথাতুর আমার চিত্ত, তন্দ্রাচ্ছন্ন অসাড় যাতনায় আমার অনুভূতি হেমলকের পেয়ালায় যেন মগ্ন ছিল আমার ঠোঁট দুটি, নতুবা কিছু নিস্তেজ আফিম পাত্র উজাড় করে করেছি পান মিনিট এক অতিক্রান্ত হতে না হতেই লিথি নদীতে ডুবে গেলাম হে নাইটিংগেল, তোমার সুখময় ভাগ্যের প্রতি নই আমি ঈর্ষান্বিত, বরং তোমার উল্লাসে, আমার সোল্লাসের এই প্রবাহ, এই তুমি হলে আলোকিত-ডানাযুক্ত অরণ্যের দেবী, কতিপয় সুরের মূর্ছনায় সবুজ তরুলতার সমারোহ এবং অসংখ্য ছায়ায়, কণ্ঠ ছেড়ে গ্রীষ্মের অন্যতম গান গাও।
মোহাম্মদ মহি উদ্দিনের অনুবাদে ভিন্ন স্বাদের বই ‘স্কাইলার্ক’। বইটিতে রয়েছে নাইটিঙ্গেল গীতি, শরৎগীতি, এটুকুই কেবল বলার, একটি লাল হাতগাড়ি, এক ধরনের গান, পুনরাগমন, তাবুণ্য ও বার্ধক্য, মানুষের চারটি স্তর, আর কোনও ট্রয় না, সনেট, সবুজ বনানির নিচে, বরফমাখা, সন্ধ্যয়ে অরণ্যের মাঝে দাঁড়িয়ে, যে পথঢি থেকে গেল, ওজাইম্যানদিয়াস, ভালোবাসার সংজ্ঞা, সুরেলা গায়িকা, হে ডেফোডিলরা, পিয়ানো টি, কতটুকু ভালোবাসি তোমাকে, যাও এবং ধর পড়ন্ত একটি নক্ষত্র, আলাদা কোনও দ্বীপ নয় কেউ-ই, মেঘের মতোই ঘুরেছি একা, তন্দ্রাতুর অবশতা আমার চেতনায়, মাত্রাতিরিক্ত জাগতিক ভাবনা আমাদের সাথে, সে ঘুরে সৌন্দর্যের মাঝে, বালুচর পারাপার, আশা সে তো পালকযুক্ত এক সত্তা, আমার তো সময় ছিল না কাউকে ঘৃণা করার, সুন্দর খুঁজতে গিয়ে গ্রহণ করতে হলো মৃত্যুকে, ওইখানে আছে আরেক নীলাম্ভর, আমি মৃত্যুর জন্যে থামিনি বলে, বইয়ের মতো নেই কোনও- ইত্যাদি কবিতা। বইটির একটি কবিতা ’শৱৎগীতি’- কুয়াশা এবং সুপক্ক ফলের ঋতু, শরৎ, তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু পরিপক্ক সূর্যের সাথে; আলোচনায় মত্ত কীভাবে ফলে ফলে টইটম্বুর করা ঋতুকে খড়ের চালের কিনারা ফলসহ আঙুরলতা ঘিরে রাখে; শেওলাঘেরা আপেলগাছ নুয়ে যায় আপেলের ভাবে, এবং সমগ্র ফল পরিপক্ক হয়ে ওঠে একেবারে ভেতর থেকে; ওগুলো এবং হিজল বাদামের খোসাগুলো ফুলে ওঠে মিষ্টি শস্যদানা সহযোগে; চায় আরও মুকুল ফুটাতে, এবং প্রস্ফুটিত করতে থাকে আরও হরেক রকম ফুল, প্ৰজাপতির তবে, সুখের দিন শেষ হবে না এমনটাই যেন তারা ভাবে, গ্রীষ্ম-ঋতু টইটম্বুর করে রেখেছে স্যাঁতস্যাতে মৌচাককে ৷