‘মানুষ দেখা’ নামে সিরিয়াস কিছু মনে হলেও আসলে মোটেই তা নয়। সহজ ভঙ্গিমায়, সাবলীল ভাষায় বর্ণিত অতি সাধারণ ব্যঙ্গ রচনা। নিজেকে মানুষ ভাবা বা বলতে পারা বুকের পাটার বিষয়। হাজার লোক থেকে সেই মানুষ দেখা চাট্টিখানি কথা নয়। সেই মানুষ দেখার চেষ্টা করা হয়েছে জীবনের বিভিন্ন পর্বে বিভিন্ন আখ্যানে। মানুষ খোঁজা এবং দেখার মতো কঠিন কাজটি সরস লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে হাস্যরসের মাধ্যমে আর রমণীয়তায়। জীবন পথে অবিরাম হেঁটে চলা এক পথিক পথে পথে দেখেছেন মানুষ, খুঁজেছেন মানুষ গভীর ভাবে। জীবনের পথ ভ্রমণকারীর কাহিনীতে উঠে এসেছে কিছু মানুষ এবং মানুষের চরিত্র। যা পড়তে পড়তে কখনো হাসবেন, কখনো দাঁত দিয়ে নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরবেন, কখনো নিজের চুল ছিঁড়বেন, কখনো আপনি অতীতে ফিরে যাবেন, কখনো বর্তমান আপনাকে ভাবাবে অথবা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার রসদ দেবে, কখনো জীবনের অর্থ বের করার জন্য ব্যাকুল হবেন। প্লিজ! আপনি শুধু হাসবেন। আর কিছুই করবেন না। জীবন অনেক সহজ। জীবনকে সহজ ভাবে নিন। মানুষকে সহজ ভাবে দেখুন। দেখবেন জীবন এবং মানুষ অনেক উপভোগ্য এবং সরস। জীবনের রস এবং মানুষের মনুষত্ব পরিপূর্ণভাবে আস্বাদন এবং উপভোগ করতে চাইলে ‘মানুষ দেখা’ আপনাকে পড়তেই হবে।
এফ কে সয়ফল এর পোশাকি নাম মোহাম্মদ ফজলুল করিম। বাবা, আম্মা আদর করে ডাকতেন সয়ফল। পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু মহলে সয়ফল নামে অধিক পরিচিত। মূল নামের ইংরেজি অদ্যক্ষর এফ কে এবং ডাক নাম সয়ফল মিলিয়ে লেখালেখি করেন এফ কে সয়ফল নামে। ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বাদশা মিয়ার বাড়ির মরহুম এফ কে ছিদ্দিক আহমদ (বাচ্চু মিয়া) ও নুর নাহার বেগম (কহিনুর) এর বড় সন্তান এবং মরহুম বজলের রহমানের নাতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অনার্স সহ মাস্টার্স এবং এমবিএ ডিগ্রিধারী এফ কে সয়ফল বর্তমানে সরকারি "কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এ ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) লিঃ এ অর্থ ও বাণিজ্য শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের পিতা। বইপড়া, আড্ডাবাজী এবং ভ্রমণ অত্যন্ত প্রিয়। অবসরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করেন। ইতোমধ্যে তার লেখা ’ব্যাঙ কাটার ক্লাস’ (ছোটদের গল্প), মানুষ দেখা (রম্য গল্প) এবং ’ছুঁয়ে যাই স্পর্শ পাই না’ (কবিতা), কী হইতে কী হ্ইয়া যায় (রম্য গল্প), তিন বাক্যে গল্প (অনুগল্প), চিত্তবিক্ষেপ (রম্য গল্প), টিপের দ্বীপের অন্ধ নাবিক (কবিতা) বই প্রকাশিত হয়েছে।