“উন্নয়ন যোগাযোগ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ সুফিয়া বেগমের উন্নয়ন যােগাযােগ গবেষণা গ্রন্থটি মূলত যােগাযােগের পরিপ্রেক্ষিতে সামগ্রিক উন্নয়ন অবকাঠামাে কীভাবে ত্বরান্বিত হয় তারই একটি বহুকৌণিক নিরীক্ষণ । উন্নয়ন এবং যােগাযােগের মধ্যে যে আপেক্ষিকতা রয়েছে তার প্রেক্ষাপট রচিত হয় এই বই । বইটিতে লেখক সুফিয়া বেগম উন্নয়ন ও যােগাযােগকে নানা পর্যায়ে ব্যক্তিগত, মনস্তাত্বিক, সামাজিক ও সামষ্টিক পরিপ্রেক্ষিতে বহুমুখী বিশ্লেষণের প্রয়াস নিয়েছেন। এক মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনি উন্নয়ন যােগাযােগ ও উপনিবেশ এবং উন্নয়ন যােগাযােগের ভাষা কেমন হওয়া উচিত, যােগাযােগের ধরণ, মানব যােগাযােগ সামাজিক শক্তি বলয়, তথ্য কী এবং তথ্য পুঁজিসহ আধুনিক গণমাধ্যম এমনকি গণযােগাযােগের ক্ষেত্রে সিনেমার ভূমিকা প্রেক্ষাপটে স্ক্রিপ্ট রাইটিং ও ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল নিয়েও পুঙ্খানুপুঙ্খ আলােচনা করেছেন। উন্নয়ন যােগাযােগ উন্নয়ন গবেষণায় একটি নতুন মাত্রা এবং উন্নয়ন ও যােগাযােগ শব্দ দুটি পরস্পর সম্পূরক । সুফিয়া বেগমের এ বইটি উন্নয়নের সকল সেক্টরে যােগাযােগের ক্ষেত্রে যে প্রধান ভূমিকা রয়েছে সে ব্যাপারে আমাদের কানে সতর্কবাণী পৌঁছে দেয়। উন্নয়নকে কীভাবে আরাে আধুনিক ও টেকসই করা যায়। তার বহুবিধ তথ্য আমাদের চেতনাকে সমৃদ্ধ করে। তাঁর উদ্যম আমাদেরকে শক্তি, সৃজনশীলতা ও কর্মস্পৃহা বিকাশ ও বিনিয়ােগ করতে তথ্য চেতনায় দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী করে তােলে। আধুনিক পৃথিবীতে তথ্য আজ সব থেকে বড়াে পুঁজি আর যােগাযােগ হলাে এক জাদু, বাস্তব সত্য। এই সত্য এবং সম্ভাবনাকে কার্যকর প্রয়ােগে সুফিয়া বেগমের উন্নয়ন যােগাযােগ বইখানি এ বিষয়ে অসামান্য বিশ্লেষণ। উন্নয়ন যােগাযােগ বইটি এ যুগের আধুনিকতম উন্নয়ন বিজ্ঞান। এ বিজ্ঞানের গ্রাহ্য সৃজনশীল ব্যাখ্যা বইটিকে। হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছে। উন্নয়ন যােগাযােগ প্রেক্ষাপট বিস্তার এবং বিষয় বিশ্লেষণে লেখকের উঁচু মাত্রার ইন্টিলেকচুয়্যাল কমিটমেন্ট, সৃজনশীলতা ও দক্ষতার পরিচয় রয়েছে। উন্নয়ন গবেষণায় গণমাধ্যম ও যােগাযােগ বিষয়ে যারা অধ্যয়ন ও উচ্চ চিন্তাভাবনা করেন এবং মাঠ পর্যায়ে যেসব উন্নয়নকর্মী কাজ করেন, এ বই তাদের সকলেরই গাইড বুক হিসেবে কাজে লাগবে। উন্নয়ন গবেষণায় বইটি সত্যিই একটি সময়ােপযােগী বিশ্লেষণ।
সুফিয়া বেগম দীর্ঘদিন ধরে লিখছেন। গল্পকার ও ফিচার লেখক হিসাবে বেশি পরিচিত। গত বছর একুশের বইমেলায়। প্রকাশিত তাঁর “উন্নয়ন যােগাযােগ” গ্রন্থখানি নন্দিত হয় এবং পাঠক মহলে তাকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। লেখক ১৯৮৬ সালে সাংবাদিকতা পেশায় যােগদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়াশুনা করেন লেখক। ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স-এ সাংবাদিকতা পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। লেখক বৃহত্তর ফরিদপুরের শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার আলালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে লেখক তথ্যমন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরে বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজে যােগদান করেন। “রােহিঙ্গা, কূটনীতি ও প্রতিবেশি” বইটি প্রতিবেদন ও গবেষণাধর্মী। বইটি লেখার জন্য সম্প্রতি এই লেখক কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইখ্যাংছড়ির রােহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির জন্য তিনি খুব কাছ থেকে রােহিঙ্গাদের ক্যাম্প-জীবন পর্যবেক্ষণ করেন।