“দানব" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ গুলি ভরা শটগান নিয়ে পার্টিতে হাজির হলাে জেনি বার্টন। চোখের পলকে দু’জনকে উড়িয়ে দিল সে। আরও মানুষ হত্যা করতে চাইছিল জেনি, কিন্তু তাকে থামাল তার... See more
TK. 127 TK. 114 You Save TK. 13 (10%)
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম অনলাইন বাণিজ্য মেলা রকমারিতে। ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে 100+ Bundle Deal, Buy1 Get1, আর Free Shipping নির্দিষ্ট পণ্যে!
বাংলাদেশে এই প্রথম অনলাইন বাণিজ্য মেলা রকমারিতে। ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে 100+ Bundle Deal, Buy1 Get1, আর Free Shipping নির্দিষ্ট পণ্যে!
“দানব" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ গুলি ভরা শটগান নিয়ে পার্টিতে হাজির হলাে জেনি বার্টন। চোখের পলকে দু’জনকে উড়িয়ে দিল সে। আরও মানুষ হত্যা করতে চাইছিল জেনি, কিন্তু তাকে থামাল তার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী পল্লবী কেয়া পিংকি ও পুলিশ। পরদিন পিংকি জেলে গিয়ে জেনির কাছে জানতে চাইল সে কেন অমন করল। জবাবে জেনি বলল, “ওরা আর মানুষ ছিল না।। পিংকি প্রথমে ভেবেছিল তার বান্ধবীর মাথা বােধহয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু সে যখন ঘটনার গভীরে প্রবেশ করল, এমন অকল্পনীয় এক আতংকের জগৎ উন্মােচিত হলাে তার সামনে, পিংকির নিজেরই উন্মাদ হওয়ার জোগাড়!
পাঠকনন্দিত অনুবাদক অনীশ দাস অপু ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত লক্ষ্মী কান্ত দাস। ১৯৯৫ সালে এই কৃতি লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর পাস করেন। ছাত্রাবস্থায়ই তিনি দেশের জনপ্রিয় ও শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকাগুলোতে অনুবাদক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন, এবং ফিচার, গল্প ও উপন্যাস অনুবাদ করতে থাকেন। অনীশ দাস অপু এর বইগুলো সাধারণত থ্রিলার ও হরর ধাঁচেরই হয়ে থাকে। তবে ক্লাসিক ও সায়েন্স ফিকশনেও অনুবাদেও পিছিয়ে নেই তিনি। অনীশ দাস অপু এর বই সমূহ এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ, আ স্ট্রেঞ্জার ইন দ্য মিরর (সিডনি শেলডন), দ্য স্কাই ইজ ফলিং (সিডনি শেলডন), সিলেক্টেড মিস্ট্রি স্টোরিজ (আলফ্রেড হিচকক), শ্যাডো অফ দ্য ওয়্যারউলফ (গাই এন স্মিথ), ইলেভেন মিনিটস (পাওলো কোয়েলহো), প্রেত, শাঁখিনী, কিংবদন্তীর প্রেত, আয়নাপিশাচ, পিশাচবাড়ি ইত্যাদি। এ পর্যন্ত তাঁর অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় চার শতাধিক। অনীশ দাস অপু এর বই সমগ্র বাংলাদেশের থ্রিলার ও হরর পাঠকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাংলাদেশে পাশ্চাত্য ধারার হরর গল্প ও উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে তিনি যোগ করেছেন এক নতুন মাত্রা, পেয়েছেন তুমুল পাঠকপ্রিয়তা। নিজের মূল পেশা হিসেবে লেখালেখি বেছে নিলেও অনীশ দাস অপু যুক্ত আছেন সাংবাদিকতার সাথেও। ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন এই কৃতি অনুবাদক ও লেখক।
গল্পগুলি বেশ ভাল‚ বিশেষ করে ‘টানেল’ এবং ‘ইঁদুর’ খুবই ভাল লেগেছে‚ অসাধারণ অনুবাদ ৷
Read More
Was this review helpful to you?
By Shahed Zaman,
04 Mar 2017
Verified Purchase
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বইয়ের নামঃ দানব লেখকঃ অনীশ দাস অপু প্রকাশনীঃ সেবা পৃষ্ঠাঃ ৩৫৮ দামঃ ১২৭ টাকা প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ হরর গল্পের প্রতি আমার ঝোঁক বরাবরই বেশি। এই বইমেলায় সেই আগ্রহে নতুন করে উৎসাহ যুগিয়েছিল প্রিয় লেখক অনীশ দাস অপুর “দানব” বইটি। বইতে রয়েছে আটটি গল্প এবং একটি নভেলা বা উপন্যাসিকা। প্রতিটি গল্পই ভৌতিক গল্পের বিচারে বেশ লেগেছে, মনে হয়েছে উপাদেয়। গল্পগুলো যথাক্রমে – টানেল, সুহাসিনী, ইঁদুর, আমি কেন ভূত ভয় পাই না, দেয়াল, মুখোশ, ঘরের মায়া এবং গাড়ি। নভেলাটির নাম দানব, যার নামে নাম এই বইটির। গল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল লেগেছে ইঁদুর গল্পটা। সুযোগ পেলে ইঁদুরের মতো নিরীহ প্রাণীও কত ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, সেই নিখুঁত আতঙ্কের রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক এই গল্পতে! যাদের এই প্রাণীর প্রতি ফোবিয়া আছে তারা এই গল্প থেকে দূরে থাকলেই ভাল করবেন! বাকি গল্পগুলোর কাহিনীও দারুণ। টানেল গল্পে রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর অত্যাচারে এক পরিবারের মারা যাওয়ার গল্প। অনেক বছর পরেও যাদের প্রেতাত্মা আশ্রয় করে রয়েছে ভূগর্ভস্থ এক টানেলকে। সুহাসিনী গল্পটা অন্য সবগুলো গল্পের চাইতে আলাদা। দক্ষিণ আমেরিকার গহীন জঙ্গলে আটকা পড়া এক বৃদ্ধ প্রফেসরকে নিয়ে গল্পের কাহিনী, তরুণী স্ত্রীকে খামোকা সন্দেহ করার ফলে যাকে অনেক বড় এক মাশুল দিতে হয়। ঠিক ভৌতিক নয়, তবে রোমাঞ্চ গল্প হিসেবে দারুণ! আমি কেন ভূত ভয় পাই না - এই গল্পটা অন্যগুলোর চাইতে আলাদা। উপকারী এক ভূতের গল্প বলা হয়েছে এখানে। দেয়াল গল্পে রয়েছে হাজার বছর আগের এক পুরনো দুর্গের কথা, যার অধিবাসীরা এখনও আগের মতোই দৃঢ়তায় নিজেদের আশ্রয়কে পাহারা দিয়ে রেখেছে! মুখোশ গল্পটি সাইকো হরর জনরার আওতায় পড়ে। শিকারী কিভাবে শিকারে পরিনত হয় তার গল্প। ঘরের মায়া এবং গাড়ি গল্পদুটি মোটামুটি। তবে এই বইয়ের মূল যে আকর্ষণ সেই নভেলাটির কথা বিশেষভাবে বলতেই হয়। গল্পের কাহিনীটা এ রকমঃ গুলি ভরা শটগান নিয়ে পার্টিতে এসে হাজির হয় জেনি বার্টন, তারপর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি করে দুজনকে খুন করে। আর কাউকে খুন করে ফেলার আগেই তাকে থামায় তার বান্ধবী পল্লবী কেয়া পিংকি আর পুলিশ। পরে পিংকিকে অবিশ্বাস্য এক গল্প শোনায় জেনি। বলে, সে যাদের খুন করেছিল তারা সবাই পরিণত হয়েছিল দানবে! প্রথমে কথাগুলো উড়িয়ে দিতে চায় পিংকি, কিন্তু তারপর ধীরে ধীরে ঘটনার আসল চেহারা উন্মোচিত হতে শুরু করে তার সামনে। বুঝতে পারে, ওদের ছোট্ট শহরে... এমনকি পুরো পৃথিবীর সামনেই ঘনিয়ে আসছে ভয়াবহ বিপদ... লেখক অনিশ দাস অপুর লেখা নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। থাকবেই বা কেন, এরই মধ্যে অসংখ্য বই উপহার দিয়ে তিনি নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। গল্পগুলো অনুবাদ হলেও লেখকের নিজস্ব মুন্সিয়ানার ছাপ সুস্পষ্ট। এক দফায় গল্পগুলো, আরেক দফায় নভেলা – এই ভাবে পুরো বইটাই শেষ করে ফেলেছি দুই টানে। বইয়ের প্রচ্ছদ দারুণ লেগেছে, হরর কাহিনির সাথে সম্পূর্ণ মানানসই। ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও বই চাই। সেই সাথে লেখকের প্রতি অনুরোধ থাকবে, তিনি যেন বড়সড় একটা মৌলিক হরর উপন্যাস উপহার দেন আমাদের।