সম্পর্কের ভেতরই মানুষ বাঁচে, এবং বাঁচবার জন্য সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কগুলো নানা প্রকারের ও বিভিন্ন মাত্রার হয়। ‘বিশে বিষক্ষয়’-এর কবিতাগুলোতে হাসান তারিক চৌধুরী তার অতি আপনজন অধ্যাপক ডা. নাজনিন নাহারের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা লিখেছে। সে সম্পর্ক যেমন নিবিড়, তেমনই গভীর। আপনজনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তাকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি, বরং সংযুক্ত করেছে। সে যুক্ত হয়ে গেছে জীবন ও জগৎ, প্রকৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে। তেমনটাই দেখি তার উপমাগুলোতে। যেমন: ‘তোমার স্পর্শ’ নামের কবিতাটির এই উপমাটিতে, ‘আমি প্রহর গুনি / দূর পাহাড়ি রেলপথের / শীতে জবুথবু স্টেশন মাস্টারের মতো।’ হাসান তারিকের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ওসমানী উদ্যানের গাছরক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তখন থেকেই আমাদের সম্পর্কটা গভীর স্নেহ-মমতার। রাজনৈতিক কর্মীর ভেতর যে একজন কবিও ছিল সেটা যে তখন টের পাইনি এমন নয়। কিন্তু বিশেষভাবে জানলাম এই লেখাগুলো পড়ে। আমি নিজে কখনো কবিতা লিখিনি এটা সত্য, কিন্তু কবিরা কেন যে কবিতা না লিখে পারেন না সেটা বিলক্ষণ জানি। হাসান তারিক চৌধুরী কবিতা লিখেছে অনিবার্য ও অপরিহার্য তাগিদে; না লিখে উপায় ছিল না বলে। তাকে এবং যাকে উদ্দেশ্য করে কবিতাগুলো লেখা উভয়কে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। দেশ-বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রফেসর ইমেরিটাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়